প্রার্থী মনোনয়নে যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন তারেক রহমান

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এবং নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যে বিএনপি এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দলটির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যে হাইকমান্ডের হাতে পৌঁছেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে স্পষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,“যিনি এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন, যার সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সম্পৃক্ততা ও উঠাবসা আছে — এমন ব্যক্তিকেই আমরামনোনয়ন দেব।”সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোল। জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ  হওয়া নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন,“বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন ও সংবিধানের ভেতরে থেকে কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, তাতে কোনো সমস্যা বা উদ্বেগের কারণ নেই। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই।”তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি অতীতেও প্রতিযোগিতার মধ্যেই নির্বাচন করেছে, তাই এ বিষয়ে উদ্বেগের কিছু দেখি না।”মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “আমরা এমন ব্যক্তিকেই অগ্রাধিকার দেব, যিনি স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য, এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগে আছেন, সমস্যা সমাধানে সক্ষম এবং তরুণ, নারী, প্রবীণসহ সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গে যাঁর সুসম্পর্ক আছে। জনসমর্থনই হবে মূল মানদণ্ড।”বিএনপির এই মনোভাব ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবারের নির্বাচনে যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও স্থানীয় সম্পৃক্ততাকেই প্রার্থী বাছাইয়ের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন  সুমুদ ফ্লোটিলা আসলে কী?

ঢাকা ভয়েস/এই