Adsterra

লোড হচ্ছে...

হাদিসে বর্ণিত ১০ শিক্ষা

 

হাদিসে বর্ণিত ১০ শিক্ষা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব গুণে গুণান্বিত ছিলেন সেগুলোর চর্চা করা, যেসব বিষয় তিনি পরিহার করেছেন এবং পরিহার করতে বলেছেন তা বর্জন করা আমাদের জন্য আবশ্যক। হাদিস থেকে এমন দশটি কাজ উল্লেখ করা হলো, যা তিনি উম্মতদের করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

আল্লাহকে স্মরণ : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহকে স্মরণকারী এমন কোনো দলই নেই, যাদেরকে ফেরেশতারা ঘিরে রাখে না, তারা রহমতে পূর্ণ হয় না, তাদের ওপর প্রশান্তি বর্ষিত হয় না এবং আল্লাহ তার সামনে উপস্থিতদের কাছে তাদের স্মরণ করেন না। (তিরমিজি)

কোরআনের সংস্পর্শ : আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর দীর্ঘ এক হাদিসে এসেছে, যখন সবকিছু তোমাদের কাছে রাতের আঁধারের মতো অস্পষ্ট হয়ে যাবে, তখন তোমরা কোরআনকে আঁকড়ে ধরো। কেননা এটি তোমাদের জন্য শাফায়াতকারী এবং বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা দানকারী। যারা একে গ্রহণ করবে, এটি তাদের জান্নাতে নিয়ে যাবে। যারা একে প্রত্যাখ্যান করবে, জাহান্নাম হবে তাদের গন্তব্য। (কানজুল উম্মাল)

বিনয় : হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি দারিদ্র্য বা অভাব ছাড়াই আল্লাহর সামনে নিজেকে বিনয়ী হিসেবে পেশ করে, সে বরকতে পূর্ণ হবে। রাসুল (সা.) ছিলেন বিনয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পরিবার, সমাজ ও অন্য সব ক্ষেত্রেই তার আচরণ ছিল বিনয়পূর্ণ।

দান-সদকা : রাসুল (সা.) বলেছেন, সদকা আদায়ে দেরি করো না, কেননা এটি দুর্দশার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। (তিরমিজি) খাবার বা অন্য কোনো সামগ্রী দেওয়ার মাধ্যমে হোক অথবা বিনয়ী ব্যবহারের মাধ্যমে হোক, সদকা মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশিষ্ট্য।

প্রতিবেশীর প্রতি দয়া : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ বিচারের দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার উচিত নয় নিজের প্রতিবেশীর ক্ষতি করা। আল্লাহ ও শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাসকারী সবার উচিত তার মেহমানের আন্তরিক খেদমত করা এবং উত্তম কথা বলা, না হয় চুপ থাকা। (সহিহ বুখারি)

ন্যায়বিচার : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রতিদিনের সূর্যোদয়ে মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর (আল্লাহর নেয়ামতের জন্য) আবশ্যিক সাদাকা আছে। দুই ব্যক্তির মধ্যে ন্যায়বিচার করাও সদকা। (সহিহ বুখারি) আমাদের চারপাশের লোকদের প্রতি আমরা শুধু দয়ালু ও বিনয়ীই হব না, পাশাপাশি তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করাও রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা।

আরও পড়ুন যেমন ছিল নবীজির মক্কিজীবন

মনে রাগ না রাখা : আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, সে যেন বসে পড়ে। যদি তার রাগ পড়ে যায় তাহলে ভালো, তাতেও কাজ না হলে তার উচিত শুয়ে পড়া। (আবু দাউদ)

শৃঙ্খলা : শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশৃঙ্খলামুক্ত থাকাও আমাদের জন্য রাসুল (সা.)-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

ভেবে কথা বলা : রাসুল (সা.)-এর জীবনী থেকে আমরা দেখি, তিনি অপ্রয়োজনে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কথা বলতেন না।

সক্রিয় চিন্তা ও অনুশীলন : রাসুল (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষভাবে চিন্তার মাধ্যমে উপলব্ধি করার এবং সক্রিয়ভাবে অনুশীলন করার। মহান আল্লাহ আমাদের এগুলো যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

No comments

Powered by Blogger.