বিয়ে, উত্তরাধিকারে নারী এখনও আইনগত বৈষম্যের শিকার
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম আয়োজিত নারী সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সম্পত্তির উত্তরাধিকার, বিয়ে, সন্তানের অভিভাবকত্বসহ নানা ক্ষেত্রে এখনও নারী আইনগত বৈষম্যের শিকার। সমান কাজে সমান মজুরি আইনে থাকলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ হয় না। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজে নারীর মর্যাদা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করার আহ্বানে এ সমাবেশ ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ঢাকা নগর শাখার সভাপতি সেলিনা ইয়াসমিন কনা।
বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু নারীমুক্তির অগ্রদূত নন, তিনি বাংলার রেনেসাঁ আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। নারী শিক্ষাকে হাতিয়ার করে তিনি সমাজ সংস্কারের পথে নারীর মুক্তিকে প্রধান শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তাঁর সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সমাজের অগ্রগতির লক্ষ্যে নিবেদিত।
সমাবেশে বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস বলেন, মৃত্যুর ৯৩ বছর পরেও বেগম রোকেয়ার ওপর আক্রমণ থামেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক তাঁকে ‘মুরতাদ’ ঘোষণা করার ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক।
ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। নারীর শ্রমঘণ্টা কমিয়ে আনার প্রস্তাব নারীদের ঘরবন্দি করার নতুন কৌশল। তিনি বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে যা হয়েছে তা অপমানজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও নারী বৈষম্যের শিকার।
ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বেগম রোকেয়ার সংগ্রাম আজও প্রেরণার উৎস। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন তপশিলের পরদিন প্রার্থীকে গুলি
ঢাকাভয়েস/এই


No comments