হাদিকে হত্যা, মা-বোন-স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ছিল
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার পর গত নভেম্বরে হাদির দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনায় এসেছে।
যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।’
এই পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার দুপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন হাদি।
পুলিশ বলছে, জুমার নামাজের পর তিনি মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা (জামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা) এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ শেষ করে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে তিনি বাংলা মোটরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রিকশায় তার দলীয় সহকর্মী রাফি ছিলেন। বিজয়নগর কালভার্ট রোডে রিকশাটি আসার পর পিছন থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুজন তাকে আগে থেকে অনুসরণ করছিল। মোটরসাইকেলটি রিকশার পাশাপাশি চলন্ত অবস্থায় খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে। গুলি তার বাম চোয়াল দিয়ে ঢুকে কানের পিছনের অংশে থেকে যায়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন যেভাবে আলোচনায় আসেন ওসমান হাদি
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সূত্র বলছে, এ অবস্থায় হাদিকে গুলির ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ ওসমান হাদির রাজনৈতিক অবস্থান সামনে আসছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাদিকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হতে পারে। এ ঘটনায় জড়িতরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে স্বার্থবাদী গোষ্ঠী এতে জড়িত থাকতে পারে।


No comments