টাকার টানাপোড়েন দূর করবে ৫ উপায়
জরুরি পরিস্থিতি
শুরুতেই দৈনন্দিন জীবনে নির্দিষ্ট কিছু ব্যয় থাকে, যা কোনোমতেই কাটছাঁট করা যায় না। আবার কিছু টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে হয়। এর মধ্যে একটি অংশ রাখুন জরুরি পরিস্থিতির জন্য। অসুখ কিংবা চাকরি চলে যাওয়া কিংবা উপার্জন কমে যাওয়া কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া— এমন নানা পরিস্থিতি জীবনে আসতেই পারে। সেই সময়ে সংসার, ব্যয়ভার চালানোর জন্য কিছু টাকা থাকা দরকার। উপার্জনের একাংশ এই বাবদ সঞ্চয় করুন। মাসে মাসে অল্প করে টাকা জমানো যেতে পারে। আবার ভালো কোনো পলিসিও করানো যেতে পারে।
সঞ্চয় সম্পর্কে জানা
আয়-রোজগার করছেন, দুই হাতে খরচও করছেন। জমাচ্ছেনও হয়তো, কিন্তু কোন প্রকল্পে? সঞ্চয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা খুবই জরুরি। বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়া একেবারেই কাজের কথা নয়। কর, বিনিয়োগ, ঋণ, বীমা—সংক্রান্ত স্পষ্ট ধারণা থাকলে আজীবন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অর্থনৈতিক পরামর্শ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের লেখালেখি বা ভিডিও দেখে এ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়।
বাজেট
সম্ভাব্য খরচ সম্পর্কে বাজেট তৈরি করা জরুরি। কারণ সেই বাজেট মেনে চলা। শখের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ আগেই বরাদ্দ রাখুন। কিন্তু কোনোভাবেই সেই বাজেট ছাপিয়ে যাওয়া যাবে না। এভাবে সন্তানের পড়াশোনা, বেড়ানো কিংবা আনুষঙ্গিক প্রয়োজনের জন্য বাজেট ও সঞ্চয়ের ধাপ স্থির করা উচিত।
অল্প সঞ্চয়
হাতে অনেক টাকা এলে জমাব, এরকম মানসিকতা দূর করতে হবে। বরং যখন যতটা পারা পাওয়া যায়, সঞ্চয় জরুরি। মাসে যদি ৫০০ কিংবা এক হাজার টাকাও জমানো যায়, তবে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করুন। আবার অনেকে বাড়িতে টাকা জমান কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলে রাখেন। এতে টাকা বাড়ে না, ব্যাংকে ফেলে রাখলে তেমন সুদও মেলে না। সুতরাং ৫০০ করে টাকা ঘরে না জমিয়ে ব্যাংক বা ডাকঘরের এমন কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করুন, যেখানে ভালো সুদ পাওয়া যাবে।
প্রতিদিনের খরচ
আপনার প্রতিদিনের ছোটখাটো খরচ যদি হিসাব করা যায়, তবে সেখান থেকে অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব। অনেক সময় বেহিসাবি খরচ হয়। টাকার অঙ্ক কম হলেও নিয়মিত অল্প টাকা জুড়লেই বড় অঙ্ক হতে পারে। চেষ্টা করে দেখতে পারেন, এমন কোনো খরচ কমানো যায় কিনা।
আরও পড়ুন জাপানি চায়ে বিশ্ব কেন মাতোয়ারা?
ঢাকাভয়েস/এই
No comments