চীনের ফ্যাট ক্যাট দ্বীপ: ভবঘুরে বিড়ালের শান্তির ঠিকানা
চীনের জিয়াংসু প্রদেশের হুয়াই’আন এলাকার বাইমা হ্রদ পর্যটনকেন্দ্রের ভেতরে আছে এক অনন্য দ্বীপ—ফ্যাট ক্যাট দ্বীপ। এটি দেশটির প্রথম জনকল্যাণভিত্তিক থিম দ্বীপ, যেখানে ভবঘুরে বিড়ালদের উদ্ধার করে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে।বাইমা হ্রদের সানজিয়ে দ্বীপপুঞ্জের অংশ এই দ্বীপে এখন রয়েছে প্রায় একশ পঞ্চাশেরও বেশি বিড়াল। তাদের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং নির্বীজিত করা হয়েছে। এখন তারা এখানে নিশ্চিন্তে, রাজকীয় ভঙ্গিতে বসবাস করছে—দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানাতে সদা প্রস্তুত।আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায় হ্রদের উপর একটি বিশাল সবুজ বিড়ালের মূর্তি—দৈর্ঘ্যে প্রায় ত্রিশ মিটার। এটি শুধু সৌন্দর্য নয়, এর ভেতরে রয়েছে একটি শিল্প প্রদর্শনী কেন্দ্র। এই মূর্তিটি দ্বীপের আকর্ষণকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
দর্শনার্থী ঝাং বলেন, “এটি আমার প্রথম ফ্যাট ক্যাট দ্বীপ ভ্রমণ। অনলাইনে দেখেই জানতে পারি এখানে বহু ভবঘুরে বিড়ালকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এটি দারুণ উদ্যোগ। আমি নিজেও বিড়াল ভালোবাসি, তাই দেখতে এসেছি।”
দ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এই বিড়ালগুলোর সঙ্গে মেলামেশা। একসময় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এসব বিড়াল এখন দ্বীপের স্বাগত দূত। দর্শনার্থীরা তাদের খাওয়াতে পারেন, গাছের নিচে বা ছোট ঘরে ঘুমাতে দেখতে পারেন, কিংবা বাঁশবনপথে হেঁটে ঘুরতে ঘুরতে বিড়ালদের খেলাধুলা উপভোগ করতে পারেন।
আরেক দর্শনার্থী ওয়াং বলেন, “এটি সত্যিই অনন্য এক জায়গা। বিড়ালপ্রেমীদের কাছে এমন ধারণা দেশের জন্যও নতুন।”
আরেকজন জানান, “জাতীয় ছুটির দিনে পরিবারের সঙ্গে এখানে সময় কাটানো বেশ শান্তিপূর্ণ। অন্য জায়গাগুলোর মতো এখানে ভিড় বা কোলাহল নেই। ধীরে ধীরে ঘুরে দেখার সুযোগ মেলে।”ফ্যাট ক্যাট দ্বীপটি পরিচালিত হয় থিম পার্ক ও জনকল্যাণ উদ্যোগের সম্মিলিত পদ্ধতিতে। এখানে টিকিট বিক্রির একটি অংশ ব্যয় হয় ভবঘুরে বিড়ালদের উদ্ধার ও যত্নে।চীনের প্রথম বিড়াল-ভিত্তিক জনকল্যাণমূলক এই দ্বীপ এখন জীবনের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে বিড়ালরা যেমন মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়, তেমনি মানুষও প্রকৃতি ও প্রাণের সঙ্গে সহাবস্থানের এক অনন্য উদাহরণ খুঁজে পায়।
আরও পড়ুন নতি স্বীকার, নেতানিয়াহুর পতন কী শুরু
ঢাকাভয়েস/এই
No comments