নতি স্বীকার, নেতানিয়াহুর পতন কী শুরু
আল জাজিরার রাজনৈতিক বিশ্লেষক নূর ওদেহের মতে,"ইসরায়েল নিজের ইচ্ছায় কখনো এই যুদ্ধ থামাত না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর চাপেই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।"ওদেহ আরও বলেন, "নেতানিয়াহু চাইলে এক/দেড় বছর আগেই চুক্তিতে আসতে পারতেন। কিন্তু একরোখা মনোভাব আর রাজনৈতিক স্বার্থে তিনি তা করেননি।"তিনি উল্লেখ করেন,"শুধু তাই নয়-২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর একাধিক শান্তিপ্রচেষ্টা তিনি নিজেই ভেস্তে দিয়েছেন। এমনকি চলতি বছরের মার্চে একটি যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছেন।"বিশ্লেষকরা বলছেন,যখন বন্দীরা মুক্তি পাবে, তখন যুদ্ধ ফের শুরু করা নেতানিয়াহুর জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।"নেতানিয়াহু এখন দুই রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এক, সরকার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা;দুই, আগাম নির্বাচনের ডাক। কিন্তু তার জন্য পথ আর সহজ নয়। কারণ, যুদ্ধের ‘নিরাপত্তার যুক্তি’ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে। আর শান্তির জন্য ট্রাম্পের উদ্যোগ নেতানিয়াহুর ছায়াকেও ম্লান করে দিয়েছে।তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, নেতানিয়াহু কি এই শান্তিচুক্তিকে নিজের টিকে থাকার সিঁড়ি বানাতে পারবেন? নাকি এটাই হবে তার রাজনৈতিক পতনের সূচনা?
গাজা যুদ্ধ শেষ হলেও, ইসরায়েলি রাজনীতিতে এখন শুরু হয়েছে এক নতুন যুদ্ধ-ক্ষমতার যুদ্ধ।
আরও পড়ুন চীনের ফ্যাট ক্যাট দ্বীপ: ভবঘুরে বিড়ালের শান্তির ঠিকানা
ঢাকাভয়েস/এই
No comments