কাজের ক্ষেত্রে একঘেয়েমি কাটাতে কী করবেন?
কাজের পরিবেশ তৈরি করুন
কাজে অনুপ্রেরণা না পাওয়ার অন্যতম কারণ কাজের পরিবেশ। আমরা যে জায়গাটিতে বসে কাজ করি তা যদি আমাদের পছন্দসই না হয়, তাহলে কখনই কাজ করে আরামবোধ হবে না। এই সমস্যা সমাধানে নিজের ডেস্কে পছন্দমতো সাজানোর জিনিস রাখতে পারেন। রাখতে পারেন ছোট একটি উদ্ভিদও। পিন আপ বোর্ড থাকলে পিন করতে পারেন কিছু ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণামূলক কথা। অনেকে কাজের টেবিলে পরিজনের ছবি রাখতেও পছন্দ করেন।
অফিসে পরচর্চা এড়িয়ে চলুন
সব অফিসেই কিছু কর্মীর অন্যদের সম্পর্কে বাজে কথা বলার প্রবণতা থাকে। এই ধরনের পরনিন্দা-পরচর্চা এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে করে সময় তো নষ্ট হয়ই সঙ্গে সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
কাজের ফাঁকে বিরতি নিন
যেকোনো কাজই একটানা করে যাওয়া অসম্ভব। ফলে কাজের উৎকর্ষ বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। একটানা কাজ করার বদলে বিরতি নিন প্রয়োজনমতো। এতে মন ও শরীর দুই-ই ভালো থাকবে। ৪০ মিনিট অন্তর চেয়ার থেকে উঠে একটু হেঁটে নিন। যারা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে মিনিট বিশ পরপর পর্দা থেকে চোখ সরানো খুবই প্রয়োজনীয়।
সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন
অফিসে কাজের ফাঁকে একঘেয়েমি কাটাতে সহকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করুন। এতে করে আবারও কাজের প্রতি আগ্রহ ফিরে পাবেন। প্রয়োজনে সহকর্মীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিন। তার সঙ্গে বসে এককাপ চা খান।
পছন্দের সৃজনশীল কাজের দিকে মনোযোগ দিন
অনেককেই জীবিকার জন্য এমন কাজ বেছে নিতে হয় যা আদৌ তিনি পছন্দ করেন না। কাজের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা থাকলে নিজের পুরোনো কোনো ভালো লাগার কাজটি সঙ্গে সঙ্গে করতে পারেন। কেউ গান করতে পছন্দ করেন, কেউ আবার পছন্দ করেন নাচ, চিত্রকলা বা আবৃত্তির মতো সৃজনশীল কাজ। কাজের অবসরে ফের শুরু করে দিতে পারেন এই সৃজনশীল কাজগুলো।
অনুপ্রেরণা
নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিন। কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজের প্রতি মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে উৎসাহিত হন। অন্যের ভালো কাজের ফলাফল দেখে নিজেও ভালো কাজ করুন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন
অনেকে কিছুদিন চাকরি করার পর স্বাধীনভাবে নিজের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেন। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের ইচ্ছে থাকে তবে দেরি না করে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে অবিলম্বে। ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখবেন না।
আরও পড়ুন জাপানি চায়ে বিশ্ব কেন মাতোয়ারা?
No comments