আইনি পথেই নিষিদ্ধ হতে পারে আওয়ামী লীগ
আইনি ভিত্তি ও সংশোধিত ধারা
মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে বিচার সম্ভব করতে ২০২৪ সালের ১০ মে সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এর ২০বি ধারায় বলা হয়েছে — যদি কোনো সংগঠন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন, আদেশ, প্ররোচনা বা সহায়তা করে থাকে, তাহলে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করতে এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিবেদন পাওয়া মাত্র পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এর আগে চলতি বছরের ১২ মে, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
অতীত অভিযোগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন
সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলও জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে।
আইনি মতামত ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, “ঘটনার সময় যদি কোনো আইন অনুযায়ী অপরাধ না হয়, পরবর্তীতে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না। এটি সংবিধানের ৩৫(১) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে।” অন্যদিকে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে, তার বিচার হওয়া সময়ের দাবি। রাষ্ট্র এখন সঠিক পথে এগোচ্ছে।”
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
No comments