চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। চীন তাদের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানি সীমিত করায় প্রতিশোধ হিসেবে ট্রাম্প এবার চীনা রপ্তানির ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং ১ নভেম্বরের মধ্যে সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা হবে।”
এই সিদ্ধান্ত বর্তমান শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় দিন আগেই কার্যকর হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিলের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও পরে তিনি জানান, বৈঠক এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয়নি, তবে “আলোচনা হবে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।”
এই ঘোষণার পরই মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে। কারণ, গাড়ি, স্মার্টফোনসহ নানা ইলেকট্রনিক পণ্যে ব্যবহৃত বিরল খনিজ উপাদান উৎপাদনে চীনের আধিপত্য রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রথমবার চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেন। এর পরপরই বেইজিং তাদের বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোরতা আরোপ করে। ফলে এসব খনিজের ওপর নির্ভরশীল মার্কিন কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়ে। এমনকি ফোর্ড মোটরস-কে কিছুদিনের জন্য তাদের উৎপাদন স্থগিত রাখতে হয়।
এর পাশাপাশি, চীন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসার তদন্ত শুরু করেছে, যা কোয়ালকমের নতুন একটি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেনার প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দিয়েছে। যদিও কোয়ালকম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক, তবে তাদের ব্যবসার বড় অংশ চীনে নির্ভরশীল।
এছাড়া চীন ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট জাহাজ থেকে নতুন বন্দর ফি নেওয়া হবে, যার মধ্যে মার্কিন কোম্পানির জাহাজও অন্তর্ভুক্ত।
গত মে মাস থেকে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রমেই বেড়েছে, যা এখন নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধের আকার নিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা ভয়েস /এসএস
No comments