যে অভ্যাসগুলো টিকিয়ে রাখবে নতুন দম্পতির সম্পর্ক
১. প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট কথা বলুন
ফোন ছাড়া কথোপকথন যেকোনো সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি। ফোন বা টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দিনে অন্তত ১৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে কথা বলুন। এতে অনুভব করবেন কাছাকাছি থাকা ও বোঝার সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে।
২. ধন্যবাদ দিতে ও প্রশংসা করতে শিখুন
ছোট ছোট ভালো কাজের জন্যও একে অপরকে ধন্যবাদ বলা বা প্রশংসা করা সম্পর্ককে গভীর করে। ‘তুমি আজ দারুণ রান্না করেছো’ কিংবা ‘তোমার সেই কথাটা মন ছুঁয়ে গেছে’ – এমন কথায় ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়।
৩. একসঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করুন
নিয়মিত একসঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, সপ্তাহে একদিন একসঙ্গে খেতে যাওয়া কিংবা ছুটির দিনে একটু বেড়ানোর আয়োজন – এই অভ্যাসগুলো একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বাড়ায় এবং আটপৌরে জীবনের একঘেয়েমি দূর করে।
৪. ঝগড়া নয়, আলোচনা করুন
মনোমালিন্য হবেই, কিন্তু তা যেন ঝগড়ায় রূপ না নেয়। রাগের সময় চুপ থেকে পরে ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করা শিখতে হবে। এতে সমস্যার সমাধান হবে শান্তভাবে, এবং সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
৫. একে অপরের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সম্মান দেখান
সম্পর্কে শুধু দুজন নয়, দুজনের পরিবার ও সামাজিক পরিসরও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইতিবাচক মনোভাব সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তোলে।
৬. ব্যক্তিগত সময় ও স্বাধীনতাকে সম্মান করুন
একসঙ্গে থাকা মানেই সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকা নয়। নিজেদের সময় ও শখের স্বাধীনতা রাখা যেমন মানসিক প্রশান্তি আনে, তেমনি সম্পর্কেও বাড়ায় পরিপক্বতা।
৭. নিয়মিত ‘চেক-ইন’ করুন
সম্পর্ক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, কী নিয়ে আপনারা খুশি বা অখুশি – সেগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। মাসে অন্তত একদিন একে অপরের মনের অবস্থা জানার চেষ্টা করুন। এটাকে বলা হয় ‘ইমোশনাল চেক-ইন’, যা ভবিষ্যতের অনেক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করে।সম্পর্ক কখনোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকে থাকে না। যত্ন, মনোযোগ আর সচেতন অভ্যাস দিয়েই তাকে ধরে রাখতে হয়। নতুন দম্পতিরা যদি শুরু থেকেই এই বিষয়গুলো মনে রাখেন, তবে সম্পর্ক হবে আরও সুন্দর, সুস্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী।
আরও পড়ুন টাইফয়েড টিকা নিয়ে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর এখানে
ঢাকাভয়েস/এই
No comments