লাভসিকনেস কী, কেন হয়, সমাধান আছে ?
প্রেম চমৎকার এক অনুভূতি। তবে প্রিয়জনকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিষহ। মানসিক ও শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন ক্ষেত্রে। এই অবস্থার নাম ‘লাভসিকনেস’।
প্রিয়জনকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিষহ।চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় লাভসিকনেস কোনো নির্দিষ্ট রোগ নয়। তাই এ কথা বলার উপায় নেই যে লাভসিক ব্যক্তিমাত্রই অসুস্থ।
তবে বিশেষজ্ঞরা একে নিতান্ত সাদামাটা এক দুঃখবিলাস হিসেবেও দেখছেন না। জীবনধারায় বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে লাভসিকনেস। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই।
কেন হয় লাভসিকনেস
প্রেমের অনুভূতির সঙ্গে মস্তিষ্কের নানা রাসায়নিক ক্রিয়া–বিক্রিয়া জড়িয়ে থাকে। বিশেষত ডোপামিন, সেরোটোনিন আর নরঅ্যাড্রেনালিনের কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
ধরা যাক, আপনি কাউকে ভালোবাসলেন। কিন্তু মনের কথা প্রকাশ করতে পারলেন না তাঁর কাছে।
এদিকে আপনার মনের ভেতর তাঁকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছাটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। কিংবা আপনি তাঁকে ভালোবাসার কথা জানালেও তিনি হয়তো আপনাকে গ্রহণ করলেন না।
প্রেমের অনুভূতির সঙ্গে মস্তিষ্কের নানা রাসায়নিক ক্রিয়া–বিক্রিয়া জড়িয়ে থাকে। অথবা দুজন দুজনকে ভালবাসলেও পারিবারিক বা সামাজিক কারণে প্রেমের সম্পর্কে থাকতে পারলেন না। অথবা ভুল–বোঝাবুঝির জন্য সম্পর্ক ভেঙে গেল।
পরিস্থিতি যেটিই হোক, আবেগগত কিংবা শারীরিকভাবে যদি তাঁর কাছাকাছি থাকার সুযোগ না পান, আপনার মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক।
এই অবস্থায় ডোপামিন, সেরোটোনিন আর নরঅ্যাড্রেনালিনের মতো রাসায়নিকগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই দেখা দেয় শারীরিক প্রভাবও।
No comments