Adsterra

লোড হচ্ছে...

রাকসু ভোটে ‘ডোপ টেস্ট’ কেন, ‘বুলিং ভয়ে’ প্রার্থীরা

রাকসু ভোটে ‘ডোপ টেস্ট’ কেন, ‘বুলিং ভয়ে’ প্রার্থীরা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh

২০১৯ সাল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে মদপান করে বিষক্রিয়ায় মারা যান দুই শিক্ষার্থী। তাদের একজন আইন বিভাগের, অপরজন অর্থনীতি বিভাগের।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাল বিভাগে ভর্তি হন মধ্যবিত্ত পরিবারের এক নারী। বিভাগের সেরা পাঁচে থেকে প্রথম বর্ষ শেষ করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মাদকে জড়িয়ে পড়েন, আসক্তির কারণে পিছিয়ে পড়েন এক বছর। চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করা এই শিক্ষার্থী এখনো সেই ট্রমা থেকে পুরোপুরি বের হতে পারেননি।

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মাদকসহ আটক হওয়ার পর মামলায় জড়িয়ে যান। এরপর আরও কয়েকটি মামলা হলে তিনি ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু তার পরিবার এখনো এ বিষয়টি জানে না। কিছুদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিনোদপুর মণ্ডলের মোড়ে তাকে গাঁজা সেবন ও শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুধু এই কয়েকজনই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্তির কারণে ঝরে পড়ছেন। মানসিক অবসাদে ভুগে তারা নানা অপকর্মেও জড়িয়ে পড়ছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা খুব কমই নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা।

এমন একটি প্রেক্ষাপটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন।

কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের ঘটনা রাকসুতেই প্রথম। ফলে বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা আলোচনা আছে। শিক্ষার্থীরা ডোপ টেস্টের বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ মনে করলেও তারা নানা প্রশ্নও তুলেছেন।


মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তথ্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর শতাধিক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পরামর্শ নিতে আসেন। গত এক বছরে অন্তত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিহ্যাব সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রটি। এ ছাড়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত মাদক সেবন করে থাকেন। তবে প্রথমাবস্থায় আনন্দ খুঁজে পায় বলে কোনো ধরনের পরামর্শ নিতে আসেন না তারা।

শিক্ষকদের মধ্যেও মাদকসেবীর সংখ্যা কম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের ব্যক্তিগত চেম্বারে মাদক পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠেছে। একটি বিভাগের সাবেক সভাপতির নামে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, পরে তার চেম্বার ও জানালার পাশে ফেনসিডিলের বেশকিছু বোতল পাওয়া যায়।

আরেকজন শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব-জুবেরী ভবনে মাদকাসক্ত অবস্থায় নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছিল। সে ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনও কাজ করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সেসব ঘটনায়।

মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালক ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের কাছের কেউ তাদের না আনলে, তারা নিজেরা সাহায্যের জন্য আসেন না। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে হলের প্রাধ্যক্ষ বা বিভাগীয় প্রধানরা নিয়ে আসেন। এর সংখ্যা খুব বেশি নয়, তবে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে আমরা চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের ট্রমা থেকে বের করে আনতে পেরেছি।”


৪০০ শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র জমাই দেননি

২৭ অগাস্ট রাতে রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি দেন। প্রথমে সময়সীমা ছিল ২৮ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কারণে তা বাড়িয়ে ৩ সেপ্টেম্বর করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে মোট মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ১ হাজার ৩০৪ জন। তাদের মধ্যে ডোপ টেস্টের নমুনা জমা দিয়েছেন ৯০৭ জন। বাকি ৩৯৭ জন ডোপ টেস্টের জন্য নমুনা দেননি। ফলে এই ৩৯৭ জন প্রার্থিতার জন্য তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না।

তবে এই ৩৯৭ জনের সবাই মাদকাসক্তির জন্য ডোপ টেস্টে নমুনা জমা দেননি; এমনটা নাও হতে পারে। অনেকে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তা’ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বুলিংয়ের’ কারণেও প্রার্থী হতে অনাগ্রহী হচ্ছেন।

আর ডোপ টেস্টের কারণে কতজনের প্রার্থিতা বাতিল হচ্ছে, সেটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। রোববার সেই ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।


ডোপ টেস্টের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন

মানবদেহে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি শনাক্তের জন্য বিভিন্ন নমুনা নিয়ে ডোপ টেস্ট হতে পারে। রাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের নেওয়া হচ্ছে প্রস্রাবের নমুনা।

ভিপি পদপ্রার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “ডোপ টেস্ট প্রার্থী বাছাইয়ের অন্যতম একটি উপায় হতে পারে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে প্রস্রাবের পরিবর্তে চুল বা রক্ত থেকে করা হলে সেটি বেশি গ্রহণযোগ্য হত।”

নারী প্রার্থীদের বুলিংয়ের বিষয়ে সজীব বলেন, “বুলিং শুধু ডোপ টেস্টের ক্ষেত্রে না; সব ক্ষেত্রেই হচ্ছে। সাইবার সেল কার্যকর করা গেলে আশা করি, এটি অনেকটাই কমানো সম্ভব।”

আরেক প্রার্থী বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে মাদক ভয়াবহ আকারেই ছড়াচ্ছে। অনেকেই মাদক সেবন করেন। এটা মিথ্যা না। একজন শিক্ষার্থী ঠিকই জানেন, তার কোন সহপাঠী বা পরিচিত বড় ভাই মাদকাসক্ত। ফলে সংখ্যাটা কম নয়।

“ডোপ টেস্ট করেও মাদকসেবী চিহ্নিত করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। কেননা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর মাদকের আলামত দেহে থাকে না।”

তিনি বলেন, “ডোপ টেস্টের কারণে যেটি হল, সেটি ভয়াবহ। সামাজিক বুলিং এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক প্রার্থী, যারা মাদকসেবী নন; তারাও নমুনা দিতে আসেননি। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বুলিং অনেক ভয়াবহ একটা ব্যাপার।”


সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী শাহ পরান বলেন, “ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে এটা যাচাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে আমার যথেষ্ট অভিযোগ আছে। একে তো প্রস্রাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে কেবল খুবই স্বল্প সময়ে নেওয়া মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। তার উপর নকল নমুনা ব্যবহারের মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে কারচুপি করা খুবই সহজ। সে জায়গায় ‘হেয়ার ফলিকল টেস্ট’ খুবই কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারত।”

শহীদ হবিবুর রহমান হলের এজিএস প্রার্থী এনামুল হক বলেন, “প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে আদৌ সঠিক ফল আসবে কিনা এটা নিয়ে আমি সন্দিহান। প্রশাসন নামমাত্র ডোপ টেস্ট করাচ্ছে। নারী প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে নারীদের ডোপ টেস্ট করাতে না চাওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে করি।”

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া ইসলাম তমা বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি কেউ যদি মাদকসেবী হন, তাহলে তিনি শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।”

কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন তাদের মধ্যে যারা সামনে আসতে চাচ্ছেন, তাদের একটা অংশ মাদক সেবন করেন, সেক্ষেত্রে ‘অরাজনৈতিক’ এই শিক্ষার্থীদেরও প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, “ডোপ টেস্টের সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক সময় ঘুমের ওষুধ, এলার্জির ওষুধের কারণেও পজিটিভ আসতে পারে। আমরা শুধু নমুনা সংগ্রহ করছি। পরীক্ষা করছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি দল। ফলাফল তৈরি হয়ে গেছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

তবে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক-এমন সিদ্ধান্তে অনড় নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “ডোপ টেস্ট ছাড়া কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে না। বাইরে থেকে টেস্ট করার সুযোগও নেই।”

ডোপ টেস্ট বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিফ কনসালটেন্ট ডা. লুৎফুল কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রস্রাব, রক্ত ও মুখের লালার নমুনা নিয়ে স্ট্রিপ ব্যবহার করে এ পরীক্ষাটি করা হয়। এ পরীক্ষায় মাদকদ্রব্য গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা থেকে এক মাস পর্যন্ত দেহে এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। নিয়মিত গাঁজা সেবন করলে দেহে এর উপস্থিতি এক মাস পরেও থাকতে পারে। তবে কী পরিমাণ গ্রহণ করেছে, তার ওপর নমুনা থেকে দেহে মাদদ্রব্য আলামত থাকা না থাকা নির্ভর করে।

তিনি বলছেন, অনেকদিন ধরে যারা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন, তাদের ক্ষেত্রে চুল ও নখের নমুনা পরীক্ষা করেও উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।


কোন প্রেক্ষাপটে ডোপ টেস্ট

রাজশাহী ভারত সীমান্তবর্তী জেলা। সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য আসার কারণে এখানে সহজলভ্য। পাশের পঞ্চবটী, পদ্মার চরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিত নগরীতে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করে, নানা সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতের মাদকের চালান ধরা পড়ার খবর হয়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাত নামলেই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে মাদকের আসর বসে। ইবলিশ মাঠ, বিজ্ঞান ভবনের পেছনের তুতবাগান, মডেল স্কুল মাঠ, আমির আলী হল সংলগ্ন হেলিপ্যাড এবং বধ্যভূমি এলাকায় নিয়মিতই মাদকের আড্ডা বসে। আবাসিক হলের ছাদও অনেক সময় মাদক সেবনের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদ প্রধান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেখভাল করে প্রক্টরিয়াল টিম। প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দায়িত্বে আসার পর মাদকসেবীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ফেনসিডিল, ইয়াবা বা মারিজুয়ানা পাওয়া গেলে ছাত্রত্ব বাতিলের বিধান আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাঁজা পাওয়া যায়। তখন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”


প্রশাসনের উদ্যোগ

মাদকসেবন কমাতে নানা উদ্যোগের কথা প্রশাসন নানা সময়ে জানালেও দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও জনবল সংকটে ধুঁকছে।

বিশেষায়িত একটি মাদকপ্রতিরোধী পরামর্শ সেল গঠনের দাবি উঠলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “ফৌজদারি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থা নেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যেগুলো আমাদের আইনের আওতায় পড়ে, সেগুলোয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

“শিক্ষার্থীদের শুধু শাস্তি নয়, তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এজন্য কাউন্সেলিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘ডেডিকেটেড সেল’ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।”

মতিহার থানার ওসি মালেক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদক সেবন করেন, তবে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে (৫ অগাস্ট) কোনো শিক্ষার্থীর নামে মাদকের মামলা হয়নি।”

No comments

Powered by Blogger.