Adsterra

লোড হচ্ছে...

বৃষ্টির পানি দিয়ে অজু করা নিয়ে ইসলাম কী বলে

বৃষ্টির পানি দিয়ে অজু করা নিয়ে ইসলাম কী বলে,ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news,bangladesh

বৃষ্টিকে বলা হয় সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতের নিদর্শন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানব জাতির কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন। অর্থাৎ বৃষ্টির সঙ্গে মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রিজিকের সম্পর্ক রয়েছে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি নিয়ে বলেন, আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা। (সুরা কাফ, আয়াত: ৯)

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।

নবী করিম (স.) বৃষ্টির পানি দিয়ে ওজু করতেন এবং এর ব্যবহারকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ বলেছেন (আবু দাউদ: ১১২, তাহারাত অধ্যায়)। জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে এ সুন্নাহ বাস্তবায়ন পরিবেশ সংরক্ষণ ও পানির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।

হাদিসে অজুর গুরুত্ব এভাবে বর্ণিত হয়েছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, বৃষ্টির পানিতে যদি প্রকাশ্য কোনো নাপাক না থাকে অথবা পানির রং, স্বাদ, গন্ধের যে কোনো একটা পরিবর্তন না হয়ে যায়-তাহলে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা বৃষ্টির পানি দিয়েও অজু করা জায়েজ আছে।

তাই খাল-বিল, ডোবা, জলাশয় বা কোনো পবিত্র পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার বৃষ্টির পানি দিয়ে অজু করতে কোনো বাধা নেই। (দুররুল মুখতার: ১/ ৩২৩, হাশিয়াতুত তাহতাবি: ১৯-২০)

কোরআনের নির্দেশনা: আমি আকাশ থেকে পরিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি’ (সুরা ফুরকান: ৪৮)। এ আয়াতে বৃষ্টির পানির পবিত্রতা ও উপকারিতার ইঙ্গিত রয়েছে।

হাদিসের বর্ণনা: ‘নবীজি (স.) বৃষ্টির পানি দিয়ে ওজু করতেন (সহিহ মুসলিম: ৬১২)। হাদিস বিশেষজ্ঞদের মতে, সাহাবায়ে কেরামও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতেন (ফিকহুল ইসলামি: ৪/২৩১)।

No comments

Powered by Blogger.