সকালের অভ্যাসে সুস্বাস্থ্য : দিন শুরু হোক সতেজতায়
দিনের শুরু যেমন হবে, সারাদিনের ছন্দও তেমনই কাটে—এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকতে সকালে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
সকালে ওঠার উপকারিতা
দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে দিনের কাজেও দেরি জমে যায়। এতে অলসতা বাড়ে, কর্মক্ষমতা কমে। অন্যদিকে সকালে তাড়াতাড়ি জেগে উঠলে শরীর-মন দুটোই থাকে সতেজ ও সক্রিয়। কাজ থাকুক বা না থাকুক, সকাল সকাল ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মোবাইল নয়, দিন শুরু হোক প্রকৃতির সঙ্গে
আজকাল ঘুম ভাঙতেই অনেকের প্রথম কাজ মোবাইল দেখা। নোটিফিকেশন বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে চোখ ও মস্তিষ্ক দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে মাথাব্যথা ও কর্মক্ষমতা কমার ঝুঁকি বাড়ে। তাই বরং দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে। জানালার পাশে বা বারান্দায় বসে কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। অন্তত দুই ঘণ্টা নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখুন।
শরীরচর্চা ও নাশতার গুরুত্ব
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য সকালে শরীরচর্চা অপরিহার্য। এরপর অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করুন। শুধু চা বা কফি খেয়ে দুপুর পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই পুষ্টিকর নাশতা দিনটিকে দেবে বাড়তি এনার্জি।
পরিকল্পিত দিন, সতেজ মন
দিনটিকে গুছিয়ে তুলতে আগের রাতেই কাজের পরিকল্পনা করে রাখুন। সকালে উঠে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে সময় বাঁচবে, মনোযোগও বাড়বে। দিনের শুরুতে গোসল করলে শরীর-মন সতেজ থাকে এবং হরমোন সঠিকভাবে কাজ করে, যা সারাদিন এনার্জি বাড়ায়।
ইতিবাচক চিন্তায় শুরু হোক সকাল
সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—নেগেটিভ চিন্তা নয়, ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে দিন শুরু করা। জীবনের ভালো দিকগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ হোন, কাছের মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এতে মন ভালো থাকবে, বাড়বে আত্মবিশ্বাসও।
No comments