কী খাওয়া যাবে এবং কী খাওয়া যাবে না ?
টাইফয়েড জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। যেমন ডাবের পানি, স্যুপ, লেবুর শরবত ও বিভিন্ন ফলের জুস।
টাইফয়েড জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। যেমন ডাবের পানি, স্যুপ, লেবুর শরবত ও বিভিন্ন ফলের জুস। জ্বরে শরীরের শক্তি কমে যায় ও পানিশূন্যতা দেখা যায়। তাই উচ্চ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, দুগ্ধজাত খাবার, ভিটামিন-সি ও মৌসুমি ফল খেতে হবে, যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করবে। এসব খাবার টাইফয়েড জ্বর থাকা অবস্থায় ও জ্বর সেরে যাওয়ার পরও নিয়মিত খেতে হবে। টাইফয়েড জ্বর শরীরকে দুর্বল করে তোলে, সঠিক খাবারই পারে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিয়ে শরীরকে সুস্থ করে তুলতে।
টাইফয়েড জ্বর হলে অধিকাংশ সময়ে শরীরে রক্তশূন্যতা কিংবা পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করার জন্য তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, স্যুপ, লেবুর শরবত, বিভিন্ন ফলের জুস ও বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। সাধারণত তরল খাবার সহজে পরিপাকযোগ্য এবং এটি শরীরে তক্ষণাৎ শক্তি জোগায়। ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
টাইফয়েড জ্বরের সময় খাবার গ্রহণের বিশেষ কিছু নিয়ম জানা খুবই জরুরি
- ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
- সহজে হজম হয় এমন খাবার যেমন দুধ, দই, জাউভাত, স্যুপ, ফলের রস ইত্যাদি সহজে হজমযোগ্য।
- একবার বেশি পরিমাণে খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাবার খাওয়া ভালো। এতে খাবার ঠিকঠাক হজম হবে এবং শরীরও সবসময় পুষ্টি পাবে।
- শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
- ঠাণ্ডা খাবারের পরিবর্তে গরম খাবার খাওয়া উচিত।
- খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেলে হজমে সাহায্য হয়।
- খাবার তৈরির সময় ও খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধোয়া উচিত।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো নতুন খাবার খাওয়া উচিত নয়।
টাইফয়েড জ্বর একটি গুরুতর রোগ। সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণ এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
No comments