Adsterra

লোড হচ্ছে...

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রস্তুতি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রস্তুতি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা,ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News

সারাদেশে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় মণ্ডপগুলোতে বিরামহীন চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। এদিকে পূজামণ্ডপগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন পূজা কমিটির নেতারা। 

ঝিনাইদহে ৪৫৫ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ৪৫৫টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে পূজা। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে প্রশাসনের নিরাপত্তামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কেন্দ্রীয় বারোয়ারি পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সাধন সরকার বলেন, পূজার প্রস্তুতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে চলেছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তারা। প্রশাসনও এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে।চাকলাপাড়া নবগঙ্গা দুর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে যেন বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। যেন নির্বিঘ্নে পূজা আয়োজন করা যায় এবং কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। 

কুড়িগ্রামে ৫০০ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

কুড়িগ্রামে এবার ৫০০ মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ায় প্রচুর ব্যস্ততা যাচ্ছে প্রতিমা কারিগরদের। আগের চেয়ে প্রতিমার অর্ডার ও দাম বেশি পেয়ে খুশি হলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন তারা। কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর পূজার দুই সপ্তাহ আগে থেকে যৌথ বাহিনীর একাধিক টহল ছিল দিনে ও রাতে। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির জায়গাগুলোতে পালাক্রমে চার থেকে পাঁচ সদস্যের গ্রাম পুলিশ নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা রাতে পূজামণ্ডপে ঝটিকা সফর করতেন। এ বছর এখন পর্যন্ত এরকম দৃশ্যমান কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। সদরের ঘোগাদহের প্রতিমাশিল্পী গণেশ মালাকার বলেন, গতবার পূজার আগে প্রশাসনের লোক বারবার এসেছে। তাদের যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েছে। এবার প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এখানে কোনো গ্রাম পুলিশও দেওয়া হয়নি। কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার ওসি মো. নাজমুল আলম বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রশাসনিক সভা আজকেই (শুক্রবার) হয়েছে। শনিবার থেকে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম রাতে ও দিনে টহলরত অবস্থায় থাকবে। নড়াইলে ৫২৪ মণ্ডপে দুর্গাপূজা শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইলের মৃৎশিল্পীরা। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ফুটিয়ে তুলতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা। জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ৫২৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নড়াইল পৌরসভাসহ সদর উপজেলায় ২৩৯টি, লোহাগড়া পৌরসভাসহ উপজেলায় ১৪৪টি এবং কালিয়া ও নড়াগাতী থানা এলাকায় ১৪১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিমাশিল্পী সদরের দলজিৎপুর গ্রামের অসীম পাল ও তাঁর ভাই রমেশ পাল জানালেন, তারা এ বছর ১০টি প্রতিমা তৈরি করছেন। পূজা আসন্ন হওয়ায় রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক মিলন ঘোষ ও সদস্য সচিব স্বপন ঘোষ বলেন, দুর্গাপূজায় উঁচুনিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একত্র হয় বলেই দুর্গাপূজাকে সার্বজনীন উৎসব বলা হয়। গত বছরের মতো এবারও নড়াইলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনী টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বছর নড়াইলে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী। 

 আরও পড়ুন ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা, উত্তেজনা

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ৪৫ মণ্ডপে দুর্গাপূজা

কাঁঠালিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের ৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এসব পূজামণ্ডপের মধ্যে উপজেলার ১ নম্বর চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নে ১০টি, ২ নম্বর পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে তিনটি, ৩ নম্বর আমুয়া ইউনিয়নে ১০টি, ৪ নম্বর কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়নে পাঁচটি, ৫ নম্বর শৌলজালিয়া ইউনিয়নে ১০টি এবং ৬ নম্বর আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে সাতটি মণ্ডপে পূজার সাজসজ্জার কাজ চলছে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এবার উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করছে।

No comments

Powered by Blogger.