অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হলে যেভাবে আইনি প্রতিকার পাবেন
অনলাইন প্রতারণা, অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা, অনলাইন শপিং প্রতারণা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, প্রতারণায় আইনি প্রতিকার, অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ, ভোক্তা অধিকার আইন বাংলাদেশ, অনলাইনে প্রতারণার শিকার, ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা, অনলাইন শপিং প্রতারণা সমাধান, অনলাইন
এখন অনলাইনের যুগ। গ্রাহকদের অনেকেই শপিং মল কিংবা দোকানে যাওয়ার চেয়ে ঘরে বসে পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। কিন্তু অনেক সময় অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।
অনলাইনে অর্ডার করে বা পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কী ধরনের আইনি সুবিধা পেতে পারেন এবং ডিজিটাল কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় সরকারের নির্দেশনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ পারভীন।
অনলাইনে অর্ডার করে কীভাবে প্রতারিত হয় ক্রেতা ?
আইনজীবী মমতাজ পারভীন বলেন, আজকাল অনলাইনে কেনাকাটার প্লাটফর্ম যেমন বেড়েছে, একই হারে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনলাইনে কেনা-কাটার হার। সূঁচ থেকে শুরু করে কম্পিউটার কী নেই অনলাইন মার্কেটে। অনলাইন মার্কেট যত প্রসারিত হচ্ছে, ততই বেড়ে গেছে প্রতারণা। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ নানা প্রতারণার জাল বিছিয়ে ঠকিয়ে যাচ্ছে অনলাইন ক্রেতাদের। ক্রেতারা হচ্ছেন হয়রানির শিকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সারাবছর যত অভিযোগ দাখিল হয়, তার ৮০ শতাংশ অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণা বা হয়রানির শিকার হওয়া বিষয়ক অভিযোগ।
সাধারণত অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো মানসম্মত জিনিস না দেওয়া, এক পণ্য দেখিয়ে আরেক পণ্য দেওয়া, অগ্রিম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া বা টাকা নিয়ে পণ্য না দিয়ে ব্লক করে দেওয়া, টাকা রিফান্ড না দেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ পণ্য দেওয়া ইত্যাদি ছাড়াও প্রতারিত হওয়ার আরও নানা অভিযোগ আছে ক্রেতাদের।
আইনি প্রতিকার কী ?
আইনজীবী মমতাজ পারভীন বলেন, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রতারণা বা হয়রানির শিকার হলে আপনি নানাভাবে প্রতিকার পেতে পারেন। যেমন:
১. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন। প্রতিকার লাভের এটাই সবচেয়ে ভালো, সুবিধাজনক ও সহজলভ্য উপায়। কারণ এখানে খুব সহজেই অভিযোগ দাখিল করা যায় এবং স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়া যায়। কোনো আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না, ব্যক্তি নিজেই অভিযোগ করতে পারেন আবার নিজের পক্ষে নিজেই শুনানি করতে পারেন।
২. সিভিল কোর্ট বা দেওয়ানি আদালতে টাকা ফেরত পাওয়ার মামলা বা ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারেন। আবার চাইলে থানায় গিয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করতে পারেন।
৩. এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইনে (১৬১২১) ফোন করেও অভিযোগ দাখিল করা যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে কীভাবে অভিযোগ দাখিল করতে হয় ?
আইনজীবী মমতাজ পারভীন বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হলে অবশ্যই লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। ফ্যাক্স, ইমেইল, ওয়েবসাইট বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো যায়। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের 'জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র' বক্স থেকে নির্ধারিত অভিযোগ ফর্ম ডাউনলোড করে ফর্মটি পূরণ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সরাসরি জমা দিতে হবে বা অনলাইনে সাবমিট করতে হবে। অভিযোগ করার সময় অভিযোগের সঙ্গে অবশ্যই পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ বা প্রমাণ সংযুক্ত করতে হবে। অভিযোগকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে এবং বিক্রেতা বা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তার ডিটেইলসও দিতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার পেতে হলে অবশ্যই ঘটনা ঘটার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দাখিল করতে হবে।
অভিযোগ প্রমাণের জন্য কী কী সংগ্রহে রাখা জরুরি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ করার সময় প্রতারিত হওয়া ওয়েবসাইট, অ্যাপ, পেজ বা আইডি ইত্যাদির লিংক, পেমেন্টের তথ্য এবং রসিদসহ বিস্তারিত তথ্য লিখিত অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। তাই অভিযোগ করার আগে এই প্রমাণগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রতারিত হওয়া ওয়েবসাইট, পণ্যের ছবি, পেমেন্টের রশিদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ ও অভিযোগ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রমাণ যতটা সম্ভব সংগ্রহে রাখতে হবে।
অনলাইন কেনা-কাটায় সতর্কতা
১. অপরিচিত ওয়েবসাইট, পেজ বা আইডি থেকে কেনাকাটা না করাই ভালো। একান্তই যদি কিনতে হয় পেজ বা ওয়েবসাইটের রিভিউ চেক করে যতটা সম্ভব খোঁজ নিয়ে তারপর কেনাকাটা করা উচিত।
২. অগ্রিম মূল্য পরিশোধ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সবসময় ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য কেনা উচিত।
৩. অপরিচিত পেজ বা ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করার সময় অস্বাভাবিক কম দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
৪. পেমেন্টের জন্য মানি ট্রান্সফার, মানি অর্ডার অথবা প্রিলোডেড কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৫. কখনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য বা আর্থিক বিবরণী শেয়ার করা উচিত নয়।
৬. কেনাকাটার ক্ষেত্রে পণ্য সম্পর্কে যাচাই করে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
৭. প্রত্যেক পারচেজের ক্ষেত্রে অর্ডার সংক্রান্ত সব কনভারসেশনের স্ক্রিনশট বা প্রমাণ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা
আইনজীবী মমতাজ পারভীন বলেন, ডিজিটাল কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২০ সালের 'জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসি' সংশোধন করে ২০২১ সালের ৪ জুলাই 'ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১' প্রণয়ন করা হয়। এতে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা ও কেনাকাটার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে।
অনলাইন কেনাকাটায় কোনগুলো ভোক্তার অধিকার আর কোনগুলো প্রতারণা সে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়া আছে। 'ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১' এর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং ক্রেতাকে তা টেলিফোন, ই-মেইল অথবা এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
২. পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে।
৩. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে ডেলিভারির সময় আরও সংক্ষিপ্ত হবে এবং ক্রেতাকে তা ক্রয়াদেশ গ্রহণের সময় সুস্পষ্টভাবে অবহিত করতে হবে।
৪. একটি ক্রয়াদেশে একাধিক পণ্য থাকলে আলাদা আলাদা পণ্যের জন্য সাধারণত আলাদা আলাদা ডেলিভারি চার্জ আরোপ করা যাবে না। তবে, মার্কেটপ্লেসে পণ্যে আলাদা আলাদা ডেলিভারি প্রদান করা হলে আলাদা আলাদা চার্জ গ্রহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে ক্রয়াদেশ নিশ্চিত করার সময় বা ইনভয়েসে আগেই জানাতে হবে।
৫. পণ্য সরবরাহের সময় মুদ্রিত বিল প্রদান করতে হবে, যাতে প্রদেয় বা প্রদত্ত ভ্যাট ও আয়কর (যদি থাকে) উল্লেখ থাকতে হবে।
৬. ক্রেতা কোনো মাধ্যমে (ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং ও অন্যান্য) অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করলে এবং বিক্রেতা কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে মূল্য পরিশোধের সর্বোচ্চ ১০ দিনের (সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রদানকারী মাধ্যমের ব্যবহৃত সময় ছাড়া) মধ্যে ক্রেতার পরিশোধিত সম্পূর্ণ অর্থ যে মাধ্যমে ক্রেতা অর্থ পরিশোধ করেছে সেই একই মাধ্যমে (ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি) ফেরত দিতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো চার্জ থাকলে মার্কেটপ্লেস বা বিক্রেতাকে তা বহন করতে হবে। মূল্য ফেরতের বিষয়ে ক্রেতাকে ই-মেইল, এসএমএস, ফোন বা অন্য মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে ক্রেতার পরিশোধিত মূলের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা যাবে না। ক্রেতা যথাসময়ে পণ্য বা সেবা গ্রহণে ব্যর্থ হলে এ সময়সীমা শিথিল করা যাবে।
৭. যেকোনো ধরনের ঘোষিত ডিসকাউন্ট বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করতে হবে। ক্যাশব্যাক অফার মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হতে হবে। ক্যাশব্যাক অফার বা মূল্যছাড় অফারের ঘোষিত অর্থ সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার পর কোনো ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওয়ালেটে জমা রাখা যাবে না।
৮. যেখানে এক বা একাধিক তৃতীয় পক্ষ পণ্য সম্পর্কিত তথ্য সন্নিবেশ করে থাকে এবং লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে, বিক্রয়যোগ্য পণ্য বা সেবার যথাযথ বিবরণ, যেমন: পণ্যের পরিমাণ, উপাদান, রঙ, আকৃতি, গুণগত মান ইত্যাদি মূল্য এবং ডেলিভারিসহ অন্যান্য চার্জ যদি থাকে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। পণ্য বা সেবাকে চিহ্নিত করার জন্য পরিপূর্ণ বর্ণনা যা পণ্য বা সেবাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম এমন তথ্য প্রদান করতে হবে। সুস্পষ্টতার জন্য বাস্তবসম্মত হলে পণ্যের ছবি, ভিডিও, রঙ, আকৃতি, পরিমাপ, ওজন ও উপাদান ইত্যাদি এবং সেবার ক্ষেত্রে সেবার ধরন, সেবা প্রদান পদ্ধতি, পরিমাপ যোগ্যতা (যদি থাকে) ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে। পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ (ব্র্যান্ড, মডেল, ডেলিভারি সময় ইত্যাদি) ক্রেতাদের জন্য দিতে হবে, যাতে ক্রেতা জেনে-বুঝে পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারে।
৯. বিক্রির জন্য প্রদর্শিত পণ্য বিক্রেতা বা তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে এবং বিজ্ঞপ্তিতে কী পরিমাণ পণ্য স্টকে রয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে এবং প্রতিটি বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই পণ্যের স্টক হালনাগাদ করতে হবে। বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্য বিক্রেতা বা তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে 'স্টকে নেই' বা 'আউট অব স্টক' কথাটি স্পষ্টভাবে পণ্যের পাশে লিখে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের পেমেন্ট গ্রহণ করা যাবে না।
১০. অগ্রিম মূল্য আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত পণ্য অবশ্যই দেশের ভেতরে 'রেডি টু শিপ' মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে বা মার্কেটপ্লেসে নিবন্ধিত থার্ড পার্টি (বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণে) পর্যায়ে থাকতে হবে। সম্পূর্ণ মূল্য গ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি পারসন বা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার মতো অবস্থায় নেই এমন পণ্যের ক্ষেত্রে পণ্যমূল্যের ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম গ্রহণ করা যাবে না। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এসক্রো সার্ভিসের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রিম গ্রহণ করা যাবে।
১১. কোনো ধরনের অফার, ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি বা অন্য কোনো সুবিধা থাকলে তা পরিষ্কারভাবে পণ্যের বর্ণনায় থাকতে হবে।
এসব নির্দেশনার কোনো একটি লঙ্ঘন হলেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা যাবে।
No comments