Adsterra

লোড হচ্ছে...

ধামরাইতে এক বেলা

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-


ভ্রমণ হলো আত্মার খাদ্য, আমি সেই আত্মার খাদ্য সংগ্রহে ঘুরে বেড়াই দেশের আনাচে কানাচে।ভ্রমণ যে প্রশান্তি দেয় সেই প্রশান্তি লিখে প্রকাশ করা যায় না এটাকে অনুভব করতে হয়।রাজফুলবাড়ীয়া থেকে বাসে উঠে পরলাম গন্তব্য ধামরাই বাস টার্মিনাল।চোখে দারুণ ঘুম দুপুর বেলার এই ঘুম কোনভাবেই আটকানো যায় না।

বাসের কনটাক্টর এসে একবার ভাড়া নিলো এরপর আবার ঘুমিয়ে গেলাম,এরপর বাসের হেলপার ডাকতেছে এই ধামরাই ধামরাই সবাই নামেন।বাস থেকে নেমে শরীরটাকে একটু সতেজ করে নিলাম।ধামরাইতে অনেক গুলো ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে যে গুলো একই রাস্তায় অবস্থিত।
ধামরাই বাস টার্মিনাল থেকে অটোতে উঠলাম গিয়ে নামলাম কালী মন্দিরের সামনে, এখানে পাশাপাশি তিনটি পুরাতন ভবন আছে যার একটি ভবন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল সুইস বাংলাদেশ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে অপর দুটি ভবন পরে আছে চরম অবহেলায়।এসব ভবন গুলোর সামনেই বিশাল এক মাঠ। কে কবে কখন এসব ভবন নির্মাণ করেন তা জানতে পারিনি।খুবই বাজে অবস্থায় আছে ভবনগুলো, তিনটি ভবনের শরীর জুড়ে বিভিন্ন বটগাছ বাসা বেধেছে দেয়ালে ধরেছে নোনা অনেক জায়গায় নোনার ক্ষতের চিহ্ন দীর্ঘ।যে কোন সময় এসব ধ্বংসস্তুপে পরিনত হবে।
এবার হাটা শুরু করলাম বাজারের মেইন রাস্তা ধরে কিছু দূর যাওয়ার পরই চোখে পরলো আরেকটি নান্দনিক বাড়ি যেটির নাম গৌর ভবন,গৌর ভবনের ভিতরে ঢুকার জন্য অনুমতি নিলাম সাথে সাথে অনুমতি পেয়ে গেলাম।গৌর ভবন ছোট একটি উঠানকে কেন্দ্র করে দুতলা একটি ভবনের সুন্দর বিন্যাস।উঠান থেকে যে আকাশটা দেখা যায় মনে হয় এই আকাশটি এই বাড়ির জন্যই আলাদা ভাবে আসমানে লেগে আছে।সুন্দর কারুকার্য দেখা যায় পুরো বাড়ি জুড়ে, এই গৌর ভবন মূলত স্থানীয় কাসার

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-


রথখোলায় অবস্থিত সুকান্ত বনিকদের শতবর্ষী বাড়িটি। প্রায় ২০০ বছর ধরে বংশানুক্রমে পরিবারটি কাঁসা-পিতল শিল্পের সঙ্গে জড়িত। দুই তলায় আছে মোট ২৭টি ঘর। নিচতলায় এখন শোরুমের পাশাপাশি আছে পুজোর ঘর, অশৌচ ঘর, ব্যায়ামাগার আর কারিগরদের থাকার ঘর। উপর তলায় থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
দোতলা এই বাড়িটি দেখলে দারুণ, উপর তলার চারপাশ ঘেরা টানা খোলা বারান্দা, রেলিংজুড়ে টেরাকোটার নকশা।সেসব নকশা গুলো মনকাড়া দেখলেই যে কেউ এর প্রেমে পরে যেতে বাধ্য। বাগানবিলাসে ছেয়ে থাকা সদর দরজায় সাঁটানো সাইনবোর্ডে লেখা "Sukanta's Dhamrai Metal Crafts- Workshop & Showroom"। পাঁচ পুরুষ ধরে চলে আসা কাঁসা-পিতলের ব্যবসা এই বাড়িতে।
এই ভবন সম্পর্কে আরো যা জানা যায়-বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, বাংলা বছরের হিসেবে ১৩০৭ সনে এই বনিক বাড়িটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল বলে জানান সুকান্ত। আশেপাশের অনেক বাড়ির মতোই কাঁসা-পিতলের ব্যবসার টাকায় পূর্বপুরুষেরা গড়েছিলেন এই বিশাল ভবন।
ভবনের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারার একটা আক্ষেপ রয়ে গেলো আমার মনে, এই বাড়ি সম্পর্কে The Business Standard পত্রিকায় একটা আর্টিকেল পড়ে এই বাড়ির প্রেমে পরে গিয়েছিলাম কিন্তু ভিতরে ঢুকতে পারিনি বাহির থেকে দেখেই আমায় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
এ বাড়ি থেকে হাতের ডানেই একটি মন্দির যেটি শ্রী শ্রী রাধা জিউর মন্দির নামে পরিচিত এই মন্দিরটি এই বনিক পরিবারের লোকজন নির্মাণ করেছিলেন বলে সেখানে উল্লেখ আছে।

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-


এই মন্দিরের পাশেই আরেকটি দ্বিতল ভবন আছে যেটিতে লেখা আছে দানসূত্রে এই জমির মালিক রুমা বনিক পিতা মৃত রাজ কুমার বনিক।এই বাড়িটি দেখে সামনে হাটতে থাকলাম একটু সামনে আগাতেই চোখে পরলো দার ই নুর ভবন। এই দার ই নুর ভবন কে কবে নির্মাণ করেন তা জানা যায়নি।এখানকার বাড়ি গুলো নির্মাণশৈলী থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় তা হলো বাড়ি গুলোর গড় বয়স ১৫০ বছরের মত। এই বাড়ি দেখে সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম একটু আগাতেই চোখে পরলো বাসুবেদ মন্দির এই বাসুদেব মন্দিরের পাশ দিয়ে আরেকটু সামনে গিয়ে হাতের বামে একটি গলি ঢুকেছে কায়েদপাড়ার দিকে আমি হেটে একদম কায়েদ পাড়ার মাথায় চলে গেলাম যেখানে ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির অবস্থিত। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রথ উৎসব ধামরাইয়ের শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের এই মন্দির থেকে বের হয় ।
এই রথ যাত্রা ইতিহাস সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তা হলো-
ধামরাইয়ের শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের রথযাত্রার ইতিহাস থেকে জানা যায়,বাংলা ১০৭৯ সালে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২০৪ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ১২৫ বছর পর্যন্ত রথযাত্রা চলে এসেছে।তারপর বালিয়াটি জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় রথযাত্রা অব্যাহত থেকেছে , আরও ১৪৬ বছর।
বাংলা ১৩৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপের পর মির্জাপুরের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা এগিয়ে আসেন রথযাত্রার উৎসব আয়োজন যা আজও অব্যাহত আছে।তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী শ্রী রাজীব প্রসাদ সাহা,স্হানীয় গণমান্য ব্যাক্তি এবং শ্রীশ্রী যশোমাধব মন্দির কমিটির সহযোগিতায় শ্রীশ্রী যশোমাধব দেবের সেবা ও রথ পরিচালনায় দায়িত্ব সুচারুরুপে পালন করে যাচ্ছেন।

থালা ,প্লেট,বাসনের জন্য বিখ্যাত।এই ভবনের নিচ তলায় এই কাসার জিনিসপত্রের দোকান আছে এই দোকান নাকি তাদের বাড়ি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এখানে।গৌর ভবনের কারুকার্য উপভোগ করে বের হলাম এর পাশেই ঐতিহাসিক আরেকটি বাড়ি আছে যেটি ধামরাই বনিক বাড়ি হিসেবে পরিচিত।যদিও এই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি তবে এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরুপ-


এবার সেই মন্দির থেকে বের হয়ে আবারো একই পথ ধরে হাটা শুরু করলাম আসার সময় কয়েকটি পুরাতন বাড়ি চোখে পরলো,কোনটারই ইতিহাস জানতে পারিনি।কায়েদ পাড়ায় ঢুকতেই হাতের বাম পাশে একটি বাড়ি চোখে পরলো সেখান একটি চেয়ারে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে একজন লোক বসে আছেন শারীরিক ভাবে একটু অক্ষম তাকে বললাম ভিতরে ঢুকে কি বাড়িটা দেখা যাবে? সে বললো জ্বি দেখা যাবে তখন এক বয়স্ক মহিলা বের হয়ে আসলো ঘর থেকে তিনি আমাকে বললেন ভিতরে আরো যাওয়া যায় না এখান থেকেই যা দেখার দেখে যান,তাদের অবস্থা দেখে যা মনে হয়েছে তারাই আসল মালিক এসব বাড়ির। ধামরাইতে হিন্দুদের ভালো একটা প্রভাব আছে এবং তারা বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত।
কায়েদ পাড়া থেকে বের হয়ে আবারো বাজার রোড ধরে হাটা শুরু করলাম সেখানে আরো কয়েকটি বাড়ি চোখে পরলো। ধামরাই বাজার থেকে এরপর সোজা চলে এলাম বাস টার্মিনাল সেখান থেকে বাসে উঠে বাইপাল তারপর সেখান থেকে আলী নূর বাসে আবদুল্লাহপুর।
কিছু বাড়ির ইতিহাস না জানাই থাক।



লিখেছেন ঃ বোহেমিয়ান ফয়সাল

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com

 

No comments

Powered by Blogger.