গম্ভীর-কোহলি দ্বন্দ্বে টালমাটাল দল, কীভাবে সামাল দেবে বিসিসিআই?
ভারতীয় ক্রিকেটের দুই সুপারস্টার বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি। এছাড়া রোহিত শর্মাও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেকের মতে, এই দুজনকে অবসর ভাঙিয়ে আবারও টেস্ট দলে ফেরানো উচিত। টেস্ট থেকে কোহলি-রোহিতের অবসরের পেছনেও গম্ভীরের হাত আছে বলে দাবি অনেকের। আন্দ্রে রাসেলের নতুন দায়িত্ব ‘পাওয়ার কোচ’; কেন এই নামকরণ?আন্দ্রে রাসেলের নতুন দায়িত্ব ‘পাওয়ার কোচ’; কেন এই নামকরণ?
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টে হো্য়াইটওয়াশড হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে রোহিত-কোহলির দারুণ পারফর্মেন্সের কারণে দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা ও চরম কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে ‘এনডিটিভি’ জানিয়েছে, ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত অগরকার কোহলির সঙ্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। তবে ‘পরিস্থিতি ভালো না থাকায়’ এর দায়িত্ব নির্বাচক প্রজ্ঞান ওঝাকে দেওয়া হয়।
‘এনডিটিভি’ আরও বলছে, এরপর কোহলি, রোহিত এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে দলের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন ওঝা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, কোহলি এবং দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। কোহলি ও গম্ভীরের সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। গম্ভীরের কঠোর কোচিং স্টাইল এবং দলের সুপারস্টারদের ছাঁটাই নীতিই কোহলি-রোহিতের সঙ্গে তার এই দ্বন্দ্বের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে।
ঘরের মাঠে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় প্রধান কোচ গম্ভীরের জন্য পরিস্থিতিকে জটিল হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে কঠোর সমালোচনা। যদিও এখনই গম্ভীরকে সরানোর পক্ষে নয় বিসিসিআই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে সেটা ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের কৌশল ও পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও কোহলি-রোহিতের বিশ্বকাপ খেলা এখনো নিশ্চিত নয়।


No comments