Adsterra

লোড হচ্ছে...

কর্মচারীদের আন্দোলনে ৫ ঘণ্টা বন্ধ মেট্রোরেল, ভোগান্তি


কর্মচারীদের আন্দোলনে ৫ ঘণ্টা বন্ধ মেট্রোরেল, ভোগান্তি,ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News

চাকরি-বিধিমালার দাবিতে আজ শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে সোয়া পাঁচ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখেন মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর আজ শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেন বন্ধ থাকায় ছুটির দিনে লাখো যাত্রী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকালে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, শুক্রবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে মেট্রোরেল। বিকেল তিনটা থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত ট্রেন চলে। তবে শুক্রবার শেষ ট্রেন যাত্রা করে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। 

ডিএমটিসিএলের উপপ্রকল্প পরিচালক (জনসংযোগ) আহসান উল্লাহ সমকালকে বলেছেন, কর্মবিরতির কারণে শুক্রবার তিনটা থেকে ট্রেন চালানো যায়নি। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে প্রথম ট্রেন যাত্রা করেন। শনিবার যথা নিয়মে ট্রেন চলবে। 

ট্রেন না চালিয়ে শুক্রবার বিকেলে তিনটার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে ফেরত আসেন। পরে এমডিকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। 

দিয়াবাড়ির ডিপো এলাকায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। সেনা সদস্যরা এমডির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান। ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, প্রতিশ্রুত সময়ে চাকরি-বিধিমালা না হওয়ায় সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে রয়েছি। তাই ট্রেন চলছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে। 

ফারুক আহমেদের বক্তব্য জানাতে পারেনি সমকাল। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমকালকে বলেছেন, স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। কর্মবিরতির নামে ট্রেন বন্ধ রাখলে আলোচনা করা হবে না। সরকারের এ অবস্থানের কারণে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন কর্মচারীরা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ডিএমটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে চাকরি বিধিমালা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু একদিনের মধ্যে বিধিমালা করার চাপ দিয়ে ট্রেন চলাচল জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় হবে না। 

২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরও চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। কোম্পানিটিতে যোগ দেওয়া কর্মচারীরা ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স, ওভারটাইম, গ্রুপ বিমা সুবিধা দাবি করছেন। চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং চুক্তিতে এসব সুবিধার উল্লেখ নেই। 

আওয়ামী লীগ আমলে ডিএমটিসিএল কর্মচারীরা এসব সুবিধার দাবি না করলেও, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আন্দোলনে নামেন। শুক্রবারসহ দুই দফা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখেন তারা।


 আরও পড়ুন       তপশিলের পরদিন প্রার্থীকে গুলি 

ঢাকাভয়েস/এই

No comments

Powered by Blogger.