Adsterra

লোড হচ্ছে...

ডায়াবেটিস রোগিরা ভাত ছাড়লে সুগার বাড়বে

ডায়াবেটিস খাদ্যতালিকা, রুটি বনাম ভাত, সুগার নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট, আটা রুটির ক্ষতি, ওজন কমানোর খাবার, জোয়ার রুটি উপকারিতা, বাজরা রুটি, রাগি রুটি, ওটস রুটি, ভাত খেলে সুগার, রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, পুষ্টিবিদ পরামর্শ, আটা রুটির ক্যালোরি, ডায়াবেটিসে কী খাবেন

অনেকেই আছেন ওজন কমাতে ভাতের বদলে রুটি খাচ্ছেন, কিন্ত তাতেও ওজন বাড়ছে? এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান, আটার রুটি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বেশি খেলে শুধু ওজনই নয়, বাড়বে সুগারও।
ভাতের বদলে রুটি খেলে ওজন বাড়বে না। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রুটি খাওয়া ভালো, কিন্তু আটার রুটি বেশি খেলে ওজন যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাবে। ডায়াবেটিস রোগিরা যদি ভাত খাওয়া বন্ধ করে শুধু রুটি খেতে শুরু করেন, তাহলে সুগার আরও বেড়ে যাবে।


তাই ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট কম খেতে বলেছেন পুষ্টিবিদরা। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছন, ভাত অল্প করে দুই বেলা খেলে ক্ষতি নেই। পরিমাণ মেপে খেলে হজমও হবে, আবার ক্যালোরিও বাড়বে না। কিন্তু যদি ভাতের বদলে দুই বেলা ৫-৬টি করে আটার রুটি খেতে শুরু করেন, তাহলে ওজন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সাদা আটা বা ময়দার রুটি বেশি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে বাঙালি বাড়িতে রাগি বা বাজরার রুটি সাধারণত হয় না। তাই আটার রুটি খেলে কম খেতে হবে। সারা দিনে ৩-৪টি খাওয়া যেতে পারে, এর বেশি নয়। আর রুটির সঙ্গে সবজি কম মসলায় রান্না তরকারিই খাওয়া খুবই ভালো।

ওজন কমাতে যে খাবার খাওয়া উচিত
ওজন কমাতে অনেকটাই নিরাপদ হচ্ছে জোয়ার, বাজরা, রাগি বা ওটসের রুটি। কারণ জোয়ারের রুটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই জোয়ারের রুটি খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। ওজন বেশি হলে বাজরার রুটি খান, খুবই ভালো। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম। ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে বাজরার রুটি। আর রাগিতে আয়রন থাকে বেশি। রাগির রুটি খেলে রক্তল্পতার সমস্যা মিটে যায়। আর ওজন ঝরানোর পরিকল্পনায় প্রতিদিনের ডায়েটে রাগির রুটি রাখতে পারেন। ওটসেও ফাইবার বেশি থাকে। আটার বদলে ওটসের রুটি খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়।

No comments

Powered by Blogger.