৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ১১ বছরে কোনো ব্যাংকে এক টাকাও শোধ করেননি
স্বল্প পরিচিত এএফসি হেলথ লিমিটেডকে একের পর এক ঋণ দিয়েছে পাঁচটি ব্যাংক। শুরুতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং পরে ভারতের ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথ সেবা চালুর জন্য পরিধি বাড়াতে এএফসি হেলথকে ঋণ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাঁচ ব্যাংকের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা অনেক আগেই খেলাপি হয়ে গেছে। ঋণ নেওয়ার পর থেকে কোনো টাকা ফেরত দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে মামলা করেছে। ঋণের বিপরীতে সব মিলিয়ে বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকা। একই সম্পত্তি বিভিন্ন ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়েছে। অর্থঋণ আদালতে মামলার নথি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন ও ব্যাংকগুলো থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এএফসি হেলথের খুলনা শাখা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম ২০১৪ সালে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ দেয় ইসলামী ব্যাংক। পরে ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম ইউনিটের জন্য ঋণ দেওয়া হয়। সুদে-আসলে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ কোটি টাকা। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল ট্রাস্ট পাবে ১৩০ কোটি টাকা। জনতার ১০৫ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১০৩ কোটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের পাওনা ১২ কোটি টাকা। সব ঋণই এখন খেলাপি। ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে। ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, মালিকরা বেশির ভাগ সময় ফোন বন্ধ রাখেন। ফোনে রিং হলেও ধরেন না।
এএফসি হেলথের ঋণের বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের কোনো যোগাযোগ না থাকায় ঋণ আদায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আর জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ছয় পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫-এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান। পরিচালকরা হলেন– এএফসি হেলথের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সাইফুর রহমান, পরিচালক জুয়েল খান, মো. সাইদুর রহমান, মো. আফজাল, মো. সাইদুল আমীন, জিয়া উদ্দীন ও শামসুদ্দোহা তাপস।
প্রতিষ্ঠানটির ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল সময়ে। একই মালিকদের এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক ও অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এ দুই প্রতিষ্ঠানেরও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ঋণ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে ২০১৪ সালে মাত্র সাড়ে ৯ কোটি টাকার মূলধন দেখিয়ে যাত্রা শুরু প্রতিষ্ঠানটির। হাসপাতালের মতো ব্যবসায় প্রথম বছরই চার কোটি ৬৪ লাখ টাকার সেবার বিপরীতে ৬০ লাখ টাকা নিট মুনাফা দেখানো হয়। পরের চার বছরে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে মূলধন বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি টাকা দেখানো হয়। ২০১৯ সালে মোট ১৬৫ কোটি টাকার সেবা বিক্রি থেকে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দেখায় ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
এমন মুনাফা দেখিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আইপিও অনুমোদন নেয় এএফসি হেলথ। তবে বিপত্তি বাধায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট বিএসইসিকে চিঠি দিয়ে জানায়, চুক্তি অনুযায়ী তারা অর্থ পায়নি। তাদের সম্পর্কে এএফসি মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
আইপিও প্রসপেক্টাসের জাল-জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হলে শেষ পর্যন্ত এএফসির আইপিও অনুমোদন স্থগিত করে বিএসইসি।
ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের জন্য এএফসি হেলথের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সাইফুর রহমান ও পরিচালক জুয়েল খানের মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাদের নম্বরে ফোন ও এসএমএস করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দুটি নম্বরে রিং হলেও কেউ ধরেননি। কোম্পানিটির ফেসবুক পেজে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করলে রাকিবুল ইসলাম পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি জানান, তিনি এএফসি হেলথের কেউ নন। নাজিম নামের এক ব্যক্তি, যিনি এএফসি হেলথের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁর সূত্রে নম্বরটি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এএফসির আইপিও অনুমোদনের আবেদনের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকায় ছিলেন মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএর তৎকালীন সভাপতি ছায়েদুর রহমান, যিনি এএফসি হেলথের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। ছায়েদুর রহমান সম্প্রতি সমকালকে বলেন, ‘এএফসি হেলথের কে কোথায় আছে আমার জানা নেই। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে আমার কাছ থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিল। পরে তা আবার শেয়ারে স্থানান্তর করে আমাকে ফেরত দেয়। সেই শেয়ার আমার নামে রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয় ২০৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে আমদানি করা যন্ত্রপাতি বন্ধক দেখানো হয় ১৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ব্যাংকিং নিয়মে যন্ত্রপাতি জামানত দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। আবার আদৌ এসব যন্ত্রপাতির অস্তিত্ব আছে কিনা সেই তথ্য ব্যাংক দেখাতে পারেনি। বন্ধকি সম্পত্তির দর মূল্যায়নের জন্য শাখা থেকে প্রতিবছর পরিদর্শনের বিধান থাকলেও এ ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের পর পরিদর্শন করা হয়নি। আবার যেসব জমি বন্ধক রয়েছে তার হালনাগাদ খাজনার রসিদ দেখাতে পারেনি ব্যাংক।
এএফসির খুলনা ইউনিটের ঋণের বিপরীতে বন্ধক হিসেবে মুন্সীগঞ্জ সদরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সাইদুর রহমানের ৭৯ শতাংশ জমি এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এএফসি হেলথের ১৪ শতাংশ জমি দেওয়া আছে। মুন্সীগঞ্জের জমির সর্বোচ্চ বাজার মূল্য তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং ফোর্স সেল মূল্য তিন কোটি ১৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জের জমির বাজার মূল্য এক কোটি ৪০ লাখ এবং ফোর্স সেল দর এক কোটি ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। খুলনা ইউনিট ছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম ইউনিটের জন্য সব মিলিয়ে বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকা। তবে এসব সম্পত্তি আদৌ আছে কিনা, ব্যাংকের কাছে সেই তথ্য নেই।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ইসলামী ব্যাংকের এমডি ওমর ফারুক খানের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ বিষয়ে জেনে পরে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য গতকালও তাঁকে এসএমএস দিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসলামী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এএফসি হেলথের খেলাপি ঋণ আদায়ে পাঁচটি চেক ডিজঅনার এবং একটি অর্থঋণ মামলা চলমান। চেক ডিজঅনার মামলায় গত ১২ ও ২২ মে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে কাউকে গ্রেপ্তারের খবর জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, ঋণ বিতরণের আগে ‘ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট’ করা ব্যাংকের দায়িত্ব। তা না করে প্রাপ্যতার চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়া অপরাধ। এসব ঋণ অনুমোদনে পরিচালনা পর্ষদের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঋণের টাকা ভিন্ন খাতে ব্যবহার
জনতা ব্যাংকের মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিলে এএফসি হেলথের কুমিল্লা ইউনিট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য ৪৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। কোনো ঋণ পরিশোধ করেনি তারা। ২০২৩ সালে ৮৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক। সুদে আসলে এখন ব্যাংকের পাওনা ঠেকেছে ১০৩ কোটি টাকা। এই মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থঋণ আদালত এএফসি হেলথের পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য বিবাদীরা ঋণ নেওয়ার পর থেকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা ব্যাংকে না দিয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছেন। তাদের বন্ধকি সম্পত্তির সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি নয়। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণে দায়দেনা রয়েছে। বর্তমানে তারা দায়দেনা অনাদায়ী রেখে দেশত্যাগের পাঁয়তারা করছেন। দেশ ছাড়তে পারলে বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ আদায় অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়া ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক। ব্যাংকটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এএফসি হেলথের নামে ৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৩৩ শতাংশ জমি বন্ধকের বিপরীতে এ ঋণ ছাড় করা হয়। সুদে আসলে এখন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়। হাসপাতাল নির্মাণের নামে ঋণ নিলেও সেখানে কোনো হাসপাতাল হয়নি। এএফসি হেলথের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ইবিএল আগ্রাবাদ শাখা। মামলায় এএফসি হেলথের পরিচালকরা ছাড়াও এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক লিমিটেড ও অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডকেও বিবাদী করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের তৎকালীন বিচারক মুজাহিদুর রহমান।
ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৬ সালে ১৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করলেও পুরো অর্থ ছাড় করেনি। সুদসহ এখন ব্র্যাক ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০১৯ সালের মার্চে প্রথমে মেয়াদি ঋণ হিসেবে ২০ কোটি টাকা দেয়। একই বছরের আগস্টে চলতি মূলতি ঋণ হিসেবে দেয় আরও তিন কোটি টাকা। পরে কয়েক ধাপে আরও ঋণ দেওয়া হয়। সুদে আসলে এখন প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা রয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ কমিউনিকেশন অফিসার ইকরাম কবীর সমকালকে বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য লিজ অর্থায়ন সুবিধার আওতায় ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে দুই ধাপে এএফসি হেলথকে ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের জুন মাসে এই ঋণ প্রথমবারের মতো শ্রেণিকৃত এবং ২০২১ সালের মার্চে মন্দ মানে খেলাপি হয়। ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ২০২৩ সালে দুটি চেক বাউন্সের মামলা করে ব্র্যাক ব্যাংক। এর একটিতে আদালত গ্রাহকের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন এবং অন্যটি চার্জ শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, সুদে আসলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এই অর্থ আদায়ে ২০২৪ সালের মার্চে ঢাকার অর্থঋণ আদালত মামলা করা হয়েছিল, যার রায় ব্যাংকের পক্ষে আসে। আদালত বিবাদী পক্ষকে দুই মাসের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। এএফসি হেলথ ঋণ পরিশোধ না করায় এখন অর্থ জারি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান যোগদানের আগে এএফসি হেলথের ঋণ দেয় ব্যাংকটি। সম্প্রতি তিনি সমকালকে বলেন, ভালো উদ্যোগ হিসেবেই হয়তো এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। খেলাপি হওয়ায় ঋণ আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।


No comments