কোলাহল থেকে ধূলোয় মিশে যাওয়া ছাই- গাজার জীবন ও যুদ্ধের দিনলিপি

যেই শহর একদিন ছিল জীবন, হাসি, আর শিশুর মেলা, যার রাস্তায় সকাল মানে ছিল দোকানে কোলাহল, সাগরপাড়ে ঘোরাঘুরি, মসজিদে মুসলিম আর চার্চে খ্রিস্টান্দের সমাগম।

সেই শহরের সবকিছু বদলে গেল একদিনে-  ৭ই অক্টোবর, ২০২৩। সেদিন শুরু হলো এক যুদ্ধ, যার আগুন এখনো নিভেনি।হামাস ও ইসরায়েলের মাঝে চলা যুদ্ধের সেই প্রথম দিনে মারা যায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি, আটকও হয়েছিলো ২০০ জন। প্রতিশোধের আগুনে গাজার সবকিছু পুড়িয়ে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে নামে ইসরায়েল, গাজাবাসীর উপর নেমে আসে এক অমানবিক ঝড়।যুদ্ধের ২ বছর পর, আজ গাজার প্রতিটি গলি যেন মৃত্যুর প্রতীক। ৬৭,০৭৪ জন ফিলিস্তিনির পৃথিবী থেকে নির্মম বিদায়, সাথে ১,৬৯,৪৩০ জন আহতের বেঁচে থাকার অন্তিম লড়াই। ভাঙা হাসপাতাল থেকে মাটিচাপা মসজিদ, গুড়িয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি থেকে পুড়ে যাওয়া গির্জা- সবকিছুই যেন এক বিলুপ্ত শহরের সাক্ষী।একসময় যে শহর গাইত আনন্দের গান, আজ সেখানে শুধুই নীরবতা। বাতাসে কালো ধোঁয়া, অবুঝ বাচ্চার চোখে কান্না, আর মাটিতে মিশে আছে ছাই। গাজার উদ্দীপ্ত আর কোলাহলময় জীবন আজ শুধু স্মৃতি। জীবন থেকে ছাইয়ে পরিবর্তন — এ যেন এক জাতির আর্তনাদ।

আরও পড়ুন  খাওয়ার সময় ফোন বা টিভি দেখলে যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে 

ঢাকাভয়েস/এই