ডেটে গেলে নারীরা যে ৫টি বিষয় পছন্দ করেন
গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ নারী ডেটের প্রথম ১০ মিনিটেই বুঝে ফেলেন, এই মানুষটার সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে নাকি নেই। ডেটে যাওয়া পুরুষ যদি কিছু বিষয়ে পাস করে যান, তাহলে পরবর্তী সময়ে আবার সাক্ষাৎ করার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে।
অভ্যর্থনার ছাপ
প্রথম অভিবাদনই অনেক কিছু বলে দেয়। আন্তরিক হাসি, চোখে চোখ রাখা আর সময়মতো উপস্থিত হওয়া—বিষয়গুলো খালি চোখে ছোট, তবে এসব মেনে চললেই বোঝা যায়, আপনি মুহূর্তটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। উদাসীনতা প্রকাশ পেলে নারীরা আর এগোন না।
নিরাপত্তার অনুভূতি
প্রত্যেক নারীই পুরুষের সঙ্গে আলাপের সময় ভেতরে–ভেতরে নিরাপত্তার হিসাব করেন। গলার স্বর কেমন, গল্পের বিষয়গুলো কেমন—এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট আচরণ, যেমন কোনো সিদ্ধান্তে চাপিয়ে না দেওয়া, গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া বা উবার ডাকতে সহায়তা করা—এসবই জানান দেয়, পুরুষ হিসেবে তিনি কেমন সঙ্গী হতে পারেন।
প্রচেষ্টার প্রকাশ
ডেট কোথায় হবে, কীভাবে হবে—এসব নিয়ে আপনি ভেবেছেন কি না, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রচেষ্টা মানে দামি জায়গা নয়, একটা আয়োজনে ভাবনায় আন্তরিকতার সঙ্গে অংশ নেওয়া। এতে বোঝা যায়, আপনি সত্যিই সময় দিতে চেয়েছেন, কেবল সময় কাটানোর সঙ্গী খুঁজছিলেন না।
শোনার গুরুত্ব
শুধু মাথা নাড়ানো নয়, সত্যিই কথা শুনছেন কি না, সেটাই আসল। কথার জবাব দেওয়া, আগের প্রসঙ্গ টেনে আনা, ফোন উল্টে রাখা—এসব ইতিবাচক আচরণ জানান দেয় আপনি দুজনের আলাপচারিতায় উপস্থিত আছেন। নয়তো মনে হতে পারে এই ডেটে না এলেও চলত। তখনই সংযোগ হারিয়ে যায়।
সম্মান
কথার মধ্যে বাধা দেওয়া, তুচ্ছ করা বা হেয় করার মতো আচরণ কেউই ভালোভাবে নেয় না। আপনিই শ্রেষ্ঠ, অপর দিকের মানুষটি বোকা—এমন আচরণ কেবল নারীই নয়, সচেতন যেকোনো ব্যক্তিই অপছন্দ করেন।
শেষ কথা
এসব কোনো বাড়তি দাবি নয়। এসবই কাউকে গুরুত্ব দেওয়ার মৌলিক আচরণ। নিখুঁত, ধনী বা সিনেমার মতো আকর্ষণীয় নায়ক হওয়ার দরকার নেই। শুধু মন দিয়ে ডেটের সময়টুকুতে আপনি উপস্থিত থাকুন। বাকি রসায়ন আর সম্ভাবনা সেখান থেকেই জন্ম নেবে।
আরও পড়ুন জাপানি চায়ে বিশ্ব কেন মাতোয়ারা?
ঢাকাভয়েস/এই
No comments