Adsterra

লোড হচ্ছে...

টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহার করেন ? এই অভ্যাসে হতে পারে যেসব ক্ষতি

 

টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহার করেন এই অভ্যাসে হতে পারে যেসব ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news,bangladesh

কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বের হতে ইচ্ছা হয় না। বসে বসে রিলস বা ভিডিও দেখছেন। মন বলে, ‘আর পাঁচ মিনিট!’ আর এভাবেই গড়িয়ে যায় সময়। আপাত দৃষ্টিতে এটিকে নিরীহ অভ্যাস মনে হলেও আপনার অজান্তেই শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে।

স্মার্টফোন দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যার ফলে অনেকেই প্রায় কখনোই তাদের ফোন থেকে আলাদা হন না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বহু মানুষ টয়লেটে বসে সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রোল করছেন বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও দেখছেন। আর সেই সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এটিই স্বাস্থ্য সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৬৬% অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছেন যে তারা টয়লেটে বসে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কোলোনোস্কোপি ফলাফলে দেখা যায়, যারা ফোন ব্যবহার করেননি, তাদের মধ্যে কেবল ৩৮%-এর হেমোরয়েডস দেখা গেছে, যেখানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১%-এর হেমোরয়েডস ধরা পড়েছে।

গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, বয়স, লিঙ্গ, বিএমআই, ব্যায়াম, টয়লেটে চাপ দেওয়া এবং ফাইবার গ্রহণের মতো অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করার পরও টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার হেমোরয়েডসের ঝুঁকি ৪৬% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা টয়লেটে সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি সময় কাটান।

সাধারণত সেখানে যে কাজগুলো বেশি করতে দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবাদপত্র পড়া (৫৪%) এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করা (৪৪%)।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেটে বসার সময় পেলভিক ফ্লোরকে সঠিকভাবে সাপোর্ট না দেওয়ায় হেমোরয়েডাল কুশনগুলোতে চাপ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ সময় এই চাপ থাকার ফলে কুশনগুলো ফুলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত হেমোরয়েডস তৈরি হতে পারে।

ডায়েটও হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কম ফাইবারের জাংক ফুড কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হেমোরয়েডসের ঘটনা বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন ফল, সবজি ও গোটা শস্য গ্রহণ বাড়ানো, জাংক ও ফাস্ট ফুড কম খাওয়া এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, টয়লেটে বসে স্মার্টফোন ব্যবহার এড়ানো।

অতএব স্বাস্থ্য সচেতনতা শুধু খাদ্যাভ্যাস বা শারীরিক কার্যকলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট অভ্যাস, যেমন টয়লেটে বসে দীর্ঘ সময় ফোনে কাটানোও আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

বলা ভালো, এসব অভ্যাস আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। সচেতন মনোভাব ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘমেয়াদে শরীর ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারি। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা মানে শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং জীবনযাত্রার মানও উন্নত করা।

No comments

Powered by Blogger.