Adsterra

লোড হচ্ছে...

‘আপনারা শিল্পীদের এতো পাপী ভাববেন না’

‘আপনারা শিল্পীদের এতো পাপী ভাববেন না’,   ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News

দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর শনিবার রাতে মারা গেছেন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা। সেখানে ফরিদা পারভীনকে নিয়ে শোক প্রকাশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতি আক্ষেপের কথাও বলেন তিনি। তার মতে, একজন শিল্পী মারা যাওয়ার পর অনেকেই পাপ-পুন্য, দোজখ-বেহেশত নিয়ে কথা বলেন, যা আদৌও উচিৎ নয়।শুরুতেই কনকচাঁপা বলেন, ‘ফরিদা পারভীন আপা লালনগীতে যে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করেছিলেন, পুরো জায়গাটি তিনি শূন্য করে নিজের সঙ্গে নিয়ে গেলেন। আধুনিক সময়ে যারা লালনগীতি শুনতাম, আমরা ফরিদা আপাকেই শুনতাম। মূলত যারা লালনের আখড়ায় গান করেন তাঁদের গান এক রকম, আর ফরিদা আপার গান একরকম আখড়া থেকে গান তুলে এনে আপা আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘তার কণ্ঠে যে মায়া আছে-শুধু লালনের কথা বললে তাকে ছোট করা হবে। দেশের গানসহ তাঁর কণ্ঠ অনাবদ্য। এক কথায় বলতে গেলে, ফরিদা আপার কণ্ঠ তীরের মতো হৃদয় স্পর্শ করতো। ভরাট একটা সংগীতাঙ্গন দেখে আমি বড় হয়েছি; সেটাই ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি। আমাদের মাথার ওপর যারা বটবৃক্ষের মতো ছিলেন, তাদের আমরা হারিয়ে ফেলছি। আমরা খুবই অসহায় হয়ে যাচ্ছি।’পরে খানিকটা আক্ষেপ ব্যক্ত করে কনকচাঁপা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনকে আনন্দিত করতে গান শোনেন। কিন্তু যখন কোনো শিল্পী মারা যান তখন পাপ-পুন্য, দোজখ-বেহেশত নিয়ে তারা অনেক কথা বলেন। সেই মন্তব্যগুলো দেখলে আমি ভীত হয়ে যাই- আমাদের খুব খারাপ লাগে। একজন মানুষের দাফনও সম্পন্ন হয়নি, তখন থেকেই তিনি কত নম্বর দোজখে বা বেহেশতে যাবেন-এসব নিয়ে আলোচনা চলে। আসলে গান শুনতে গেলে শিল্পীদেরই দরকার।’নেটিজেনদের উদ্দেশে কনকচাঁপা অনুরোধ করেন, “যারা অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়, তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ-শিল্পীদের এতো পাপী ভাববেন না। আমাদের দেশে পাপ অনেক জায়গায় আছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আছে; কিন্তু আমরা শিল্পী, আমরা শুধুই গান করি। আমাদের ঘুষ খাওয়ার জায়গা নেই, দুর্নীতির জায়গা নেই, মিথ্যাচার করার জায়গা নেই-আমাদের অন্যায় করার জায়গা নেই।”প্রসঙ্গত, রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রোববার বেলা ১২টার দিকে সর্বস্তরের মানুষ ফরিদা পারভীনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নেয়া হবে; যোহর নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুষ্টিয়ায় মা–বাবার কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

 আরও পড়ুন  কোথাও ছাত্রদল নেই : জাকসু 

No comments

Powered by Blogger.