ছুটির দিনেও কাজের চিন্তা? বাড়তে পারে মানসিক চাপ
অনেক মানুষ আছেন, যারা কাজে এতটাই আসক্ত যে ছুটি নিতে চান না। সুযোগ পেলে সপ্তাহের সাত দিনই তারা অফিসে থাকতে রাজি। তবে ভ্রমণ বা বিশেষ কোনো কারণে ছুটি নিলেও, সেই অবসরকালটা তাদের শান্তিতে কাটে না। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর মানসিক চাপের কারণে বিশ্রামের সময়ও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দেয়।ফলে ছুটি নেওয়ার পরও কোনো লাভ হয় না। এই অবস্থাকেই বলা হয় ‘লিজার সিকনেস’।
‘লিজার সিকনেস’আসলে কী?যারা কাজের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল, তাদের কাছে পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি নেওয়াটা মোটেই সহজ নয়। তাই ছুটির দিনেও তাদের চিন্তার কেন্দ্রে থাকে অফিস।এমনকি দীর্ঘ ছুটি পেলে তারা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন। এই অভ্যাস থেকেই জন্ম নেয় এক ধরনের মানসিক চাপ। এতে উদ্বেগ ও অস্থিরতা তৈরি হয়। আবার একটানা কাজ করার ফলে ছুটির দিনগুলোতেও গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দেয়।যা অবসরের আনন্দ নষ্ট করে দেয়।
কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
১) আধুনিক সময়ে চাকরি কিংবা ব্যবসার বেশির ভাগ কাজই ইন্টারনেটনির্ভর। মোবাইল ও ল্যাপটপ তাই অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। মনোবিদদের মতে, ছুটির সময়ে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ চর্চা করা উচিত। মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকলে অফিসের চিন্তা মনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না।
২) অবসরে গান শোনা, বই পড়া, ব্যায়াম করা বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো— এসব কার্যকলাপ পেশাগত ভাবনা থেকে মনকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
৩) ছুটির দিনে কী কী ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজ সেরে ফেলা যায়, তার একটি তালিকা তৈরি করে রাখা যেতে পারে। এতে দিনটা ব্যস্ত থাকবে, আর অফিসের চিন্তার জায়গা কমবে।
৪) মনঃসংযোগ বাড়াতে শরীরচর্চা বা ধ্যানও কার্যকর। নিজেকে বোঝানো দরকার যে কাজের সময়েই কাজের চিন্তা করা উচিত। ছুটি মানে ব্যক্তিগত সময়, সেখানে অফিসের দায়বদ্ধতার চিন্তা করা উচিত নয়।
৫) যদি সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে বা অফিসকে কেন্দ্র করে পারিবারিক অশান্তি তৈরি হয়, তবে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। না হলে মানসিক স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হতে পারে।
No comments