Adsterra

লোড হচ্ছে...

কে নেবেন নেপালের দায়িত্ব, আলোচনায় যারা

কে নেবেন নেপালের দায়িত্ব, আলোচনায় যারা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh

সহিংস বিক্ষোভের পর নেপালে কে পি শর্মা অলি সরকারের পতন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। তরুণদের বিক্ষোভের মুখে অলি সরকারের পতনের পর আগামী দিনগুলোতে নেপালের পরিস্থিতি কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জেন জি-র সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সেনাবাহিনী। 

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অলির পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তাকে দায়িত্বে বহাল থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

অলি কোথায় আছেন, তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি। প্রেসিডেন্ট বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। 

নেপালের সংবিধানবিশেষজ্ঞ ভিমার্জুন আচার্য বলেন, আমাদের সামনে এমন একটি পরিস্থিতি এসেছে, যার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। কেবল সর্বদলীয় আলোচনার মাধ্যমে এর একটি সমাধান বের করা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য আগে বিক্ষোভের অবসান হতে হবে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের জীবন ও অধিকারের সুরক্ষা জরুরি।

অনেকের মতো ভিমার্জুন আচার্যও মনে করেন, ১০ বছর আগে রচিত নেপালের বর্তমান সংবিধান কার্যত এখন অকার্যকর। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাই এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত।

সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে অলির জায়গা নিতে চলেছেন? সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন এখন এটা। কারণ, নেপালের রাস্তায় বিক্ষোভের যে ঝড় বয়ে গেছে, সে ঝড়ে সব দলের নেতারাই রোষের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।

নেপালের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

সরকারের উচ্চপর্যায়ে এবং বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। তিনি বিভিন্ন জনমঞ্চে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন এবং জেন-জির বিভিন্ন দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে কার্কি অথবা তার পূর্বসূরি কল্যাণ শ্রেষ্ঠার নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের দুজনের বয়সই ৭০ পেরিয়ে গেছে।

যদিও অনেকে ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, এই দুজনের যে কাউকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হলে ৩০ বছরের কম বয়সিদের এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে।

আরও একটি নাম জোরেসোরে উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি হলেন কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ। তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং একজন র্যাপার।

অলির কট্টর সমালোচক বালেন শাহ জনসমক্ষেই তাকে বারবার দুর্নীতিবাজ বলেছেন। তিনিও জেন-জিদের এ বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছেন।

তবে যেহেতু তার বয়স ২৮ পেরিয়ে গেছে, তাই তিনি তরুণদের ওই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে চান না।

অলি সরকারের পতনের পর জেন-জিরা বালেন শাহকে দেশের নেতৃত্বে আসার অনুরোধ করেছিল বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তরুণদের ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তরুণদেরই সরকার পরিচালনায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে নেপালের সেনাবাহিনী জনগণ ও জেন-জি বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার, শান্তি বজায় রাখার এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।

সেনাবাহিনী থেকে আরও বলা হয়েছে, নাগরিকদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে তারা শান্তি ও পারস্পরিক ঐক্যের মাধ্যমে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার ইঙ্গিতও দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.