মিসরের সমুদ্র উপকূলে নতুন আবিষ্কার
ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট ফর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি (আইইএএসএম) মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিসরের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি ডুবে যাওয়া মন্দিরের জায়গায় নতুন ‘ধন-সম্পদ ও গোপন বিষয়’ উন্মোচিত হয়েছে।
ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্রাঙ্ক গোডিওর নেতৃত্বে একটি আন্ডারওয়াটার প্রত্নতাত্ত্বিক দল আবুকি উপসাগরের প্রাচীন বন্দর শহর থনিস-হেরাক্লিয়নে দেবতা আমুনের একটি মন্দিরের জায়গায় এই আবিষ্কার করেছে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউটটি।
আইইএএসএম জানিয়েছে, দলটি শহরের দক্ষিণ খালে তদন্ত করেছে, যেখানে প্রাচীন মন্দির থেকে পাথরের বিশাল খণ্ড ‘খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি বিপর্যয়মূলক ঘটনার সময়’ ভেঙে পড়েছিল।
দেবতা আমুনের মন্দির ছিল যেখানে ফারাওরা ‘প্রাচীন মিসরীয় প্যান্থিয়নের সর্বোচ্চ দেবতা থেকে সর্বজনীন রাজা হিসাবে তাদের ক্ষমতার খেতাব পেতে’ এসেছিল।
আইইএএসএম আর জানায়, “মন্দিরের অন্তর্গত মূল্যবান বস্তুগুলো বের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় আচারের রূপার তৈরি যন্ত্র, সোনার গয়না ও পারফিউমের জন্য ভঙ্গুর আলাবাস্টার পাত্র৷ জিনিসগুলো এই উপাসনালয়ের সম্পদ ও বন্দর শহরের বাসিন্দাদের ধার্মিকতার সাক্ষ্য দেয়।”
গোডিওর দল এবং মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। তারা জানান যে ভূগর্ভস্থ কাঠামোটি ‘খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে খুব ভালোভাবে সংরক্ষিত কাঠের পোস্ট ও বিম দ্বারা তৈরি’।
আইইএএসএম-এর সভাপতি ও অভিযানের পরিচালক গোডিও বলেন, “এ ধরনের সূক্ষ্ম বস্তু আবিষ্কার করা অত্যন্ত চমকপ্রদ, যা সহিংসতা ও বিপর্যয়ের তীব্রতা সত্ত্বেও অক্ষত রয়েছে।”
ইনস্টিটিউট বলেছে, নতুন ভূপদার্থগত প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহারের জন্য এই আবিষ্কারগুলো সম্ভব হয়েছে, যা ‘কয়েক মিটার পুরু কাদামাটির স্তরের নিচে চাপা’ থাকা গহ্বর ও বস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম।
No comments