Adsterra

লোড হচ্ছে...

জিভ পুড়ে গেলে কী করবেন

                               জিভ পুড়ে গেলে কী করবেন, আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল রাকা। বিপত্তি বাধলো চায়ের কাপে চুমুক দিতে গিয়ে। গরম চা মুখে দেওয়ায় পুড়ে গেল জিভ। রাকার মতো এমন পরিস্থিতিতে কম-বেশি সবাই পড়েন। কেবল চা-কফি নয়, গরম স্যুপ বা অন্য কোনো গরম খাবার খেতে গিয়েও জিভ পুড়তে পারে। 


জিভ পুড়ে গেলে খুব বেশি ব্যথা যা জ্বালাভাব তৈরি না হলেও, থেকে যায় অস্বস্তি। খাবার খেতে অসুবিধা হয়। এমনকী খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। এই অস্বস্তি অনেকসময় থেকে যায় ৩/৪ দিন পর্যন্ত। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপাদানে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত- 

হলুদ

রান্নাঘরের অতিসাধারণ মসলা হলুদ। কিন্তু হলুদের গুণাগুণ মোটেও সাধারণ নয়। এর একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হলুদের রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা জিভের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জিভ পুড়ে গেলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে তা জিভের ওপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে জিভের পোড়াভাব থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।


দুধ

জিভ পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে ভরসা রাখুন দুধে। ঠান্ডা দুধ মুখে নিয়ে ২-৩ মিনিট বসে থাকুন। তারপর ওই দুধ ফেলে দিতে পারেন কিংবা খেয়ে নিতেও পারেন। এভাবে বেশ কয়েকবার ঠান্ডা দুধ মুখে নিয়ে বসে থাকতে হবে। ঠান্ডা দুধ দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কমাবে জিভের পোড়াভাব। 


তুলসি পাতা

ছাদবাগানে থাকা তুলসি পাতা সহজেই জিভের পোড়াভাব সারায়। চা-কফি খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে গেলে তাজা তুলসি পাতা চিবিয়ে নিন। কিংবা তুলসি পাতার রস বের করে জিভের ওপর লাগিয়ে রাখুন। দিনে দুবার এই দুই টোটকা মানলে জিভের অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। তুলসি পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা জিভের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।


বরফ

যেকোনো পোড়া, চোটের ওপর বরফ লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। জিভ পুড়ে গেলেও তার ওপর বরফ লাগাতে পারেন। এতে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। এতে জিভের জ্বালাভাবও কমে। এছাড়া জিভের ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে বরফ। 


টক দই

বাড়িতে টক দই আছে? জিভ পুড়ে গেলে দ্রুত এক বাটি টক দই খেয়ে নিন। এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি যেমন জিভের প্রদাহ এবং জ্বালাভাবের প্রদাহ কমায়, তেমনি হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।


ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health

ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.