বর্ষায় ত্বক যেভাবে সুস্থ রাখবেন
আকাশে ধূসর মেঘ, বাতাসে সোঁদা ঘ্রাণ। মন উদাস করা দিন। এমন দিনের কিছু বিপত্তিও আছে। ভেজা ভেজা এই দিনগুলোতে ত্বকে হতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ। চুলের গোড়া ভেজা থাকলে সেখানেও জন্মাতে পারে ছত্রাক। এমন না যে এই মৌসুমে ত্বকের যত্নে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন। একটু সচেতন থাকলেই বর্ষার আর্দ্র দিনেও ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত।
এই মৌসুমে ত্বকের যত্নে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই।
আমাদের ত্বক থেকে স্বাভাবিকভাবেই একধরনের তেলজাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয়। এর নাম সিবাম। বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে এই সিবাম দীর্ঘ সময় ত্বকে রয়ে যায়। তাই যাঁদের ত্বক একটু তৈলাক্ত, তাঁদের ত্বক একটু চিটচিটে মনে হতে পারে। কাদা আর ময়লা পানি লেগে যাওয়ায় পায়ের যত্নেও একটু মনোযোগ প্রয়োজন এই সময়। বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচির সঙ্গে এসবের প্রতিকার নিয়েই কথা হচ্ছিল।
ত্বকের যত্নে নিয়মিত হারবাল তেল ব্যবহার করুন । এমন পরিষ্কারক বেছে নিন, যাতে ক্ষারের মাত্রা কম। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু ব্যবহার করুন, যাতে বাড়তি তেল নেই। টোনার ব্যবহারে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে, ত্বক থাকবে কোমল। সানস্ক্রিনসামগ্রীও ব্যবহার করুন নিয়মমাফিক। এই মৌসুমে মুখে বরফ প্রয়োগ করাও ভালো। সপ্তাহের বাড়তি কাজ হিসেবে স্ক্রাবিংও করা চাই। মসুরের ডালের গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণমতো শসার রস মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন স্ক্রাব।
ত্বকের যত্নে প্যাক
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন।
- পাকা কলার সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন সহজ একটি প্যাক, যাতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। প্যাক শুকিয়ে গেলে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- চন্দনবাটার সঙ্গে পরিমাণমতো জলপাই তেল, মধু এবং সামান্য হলুদবাটাযোগে তৈরি প্যাকেও ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
- উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আরও একটি প্যাক কাজে আসবে। এক কাপ টক দই, তিন টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক কাপ টমেটো পিউরি মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন।
- তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সমপরিমাণ মুলতানি মাটি, চন্দনগুঁড়া, টক দই নিন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
- ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন
হাত-পায়ের সুস্থতায়
পানির কাজ করার পর হাত ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। সপ্তাহে একবার ম্যানিকিউর করানো ভালো। পেডিকিউর করানো উচিত সপ্তাহে দুবার। গরম পানি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু আর সামান্য লেবুর রস দিয়ে বাড়িতেই ম্যানিকিউর–পেডিকিউর করাতে পারবেন।
সুন্দরভাবে কেটে রাখলে নখ সুস্থ থাকবে। পায়ে কাদা বা ময়লা পানি লাগলে দ্রুত পরিষ্কার করা আবশ্যক। হাত-পা ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
No comments