Adsterra

লোড হচ্ছে...

দফায় দফায় সংঘর্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন

দফায় দফায় সংঘর্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla ne

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনী সদস্যদেরে মোতায়েন করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টার কিছু পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসী সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। 

সংঘর্ষ শুরুর চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দেরিতে আসায় তাদের ভুয়া ভুয়া বলে দুয়োধ্বনি দেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিকেল ৪টার দিকে ২ নম্বর গেটের সড়ক দিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের ২০টি গাড়ি প্রবেশ করে জোবরা গ্রামের দিকে যায়। তাদের পেছন পেছন শিক্ষার্থীরাও যান। দেরিতে ঘটনাস্থলে আসায় ভুয়া ভুয়া বলে দুয়োধ্বনি দেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের পর আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় শিক্ষার্থী মো. আসিফ সমকালকে বলেন, সকালের দিকে সেনাবাহিনী এসে ফিরে গেছে। এরপর আর আসেনি। বিকেল চারটার দিকে এসেছে। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে থাকলে এতবড় ঘটনা ঘটতো না।

আজ রোববারের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে না আসায় তাদের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানোর পরও কোনো সাড়া মেলেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরের ওপর হামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। শতশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি; কিন্তু সহায়তা পাইনি।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু সমকালকে বলেন, শনিবার রাত থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। উভয়পক্ষে হাজার হাজার মানুষের বিপরীতে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। তাই হয়তো অনেকে পুলিশ দেখেননি।

এর আগে গতকাল রাত সোয়া ১২টা থেকে সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী। গভীর রাত হলে সংঘর্ষ থেমে যায়। পরে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় তাদের পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১০ থেকে ১২ জন।


১৪৪ ধারা জারি

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে চবি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। জারি করা আদেশে বলা হয়, চবি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদরক্ষা ও শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্বদিকের রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশেই আজ দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশি অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.