Adsterra

লোড হচ্ছে...

বয়সের বেশি ফারাকে বিয়ে করলে সন্তান ধারণসহ স্বাস্থ্যগত যেসব জটিলতা তৈরি হতে পারে

 

বয়সের বেশি ফারাকে বিয়ে করলে সন্তান ধারণসহ স্বাস্থ্যগত যেসব জটিলতা তৈরি হতে পারে,ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News

এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের একসময় অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যেত। তখনো পুরুষের তুলনায় নারীর বয়স থাকত কম, সাধারণত ব্যবধানটা হতো ৫ থেকে ১০ বছর। এখনো বাল্যবিবাহের চল আছে, তবে আগের মতো না। অনেক পরিবারই সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে দেন। এখন ব্যবধান কমে কাছাকাছি বয়সে বিয়ে হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। নানা কারণে কেউ কেউ নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সীকেও বিয়ে করছেন। বিয়ের পর এমন দম্পতিরা শারীরিকভাবে নানা রকম চাপের মধ্যে পড়েন। বেশি বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করা দম্পতিদের স্বাস্থ্যগত নানা রকম চাপ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. তানজিনা হোসেন

বর্তমানে স্বামীস্ত্রীর মধ্যে বয়সের বেশি তফাৎ কমে এসেছে। তার পরও প্রায়ই ১০, ১২, ১৫ বছরের তফাতে বিয়ে হতে দেখা যায়।

মনোসামাজিক সমস্যার বাইরে বেশি বয়সে বিয়ের একটি সমস্যা হলো ‘ফার্টিলিটি’। ৩০ বছরের পর নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে, সেই সঙ্গে কমতে থাকে সন্তান ধারণের ক্ষমতা।

এ ছাড়া ত্রিশের পর সন্তান নিলে নারীর গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য ঝুঁকি বেশি থাকে। সন্তানের ডাউন সিনড্রোম ও অন্যান্য জেনেটিক জটিলতার ঝুঁকিও বাড়ে। শুধু নারীদের নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানেও নানা পরিবর্তন ঘটে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, বেশি বয়সে বাবা হলে সেই সন্তানদের অটিজম বা এডিএইচডিজাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বয়স যত বাড়ে, পুরুষের শুক্রাণুর মিউটেশনও বেশি হয়; আর তাতে অনাগত সন্তানের শারীরিক নানা জটিলতার আশঙ্কা থাকে। এমনকি ত্রুটিপূর্ণ শুক্রাণু থেকে তৈরি ভ্রুণে মিসক্যারেজের পরিমাণ বেড়ে যায়।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নারীপুরুষ উভয়েরই হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে। ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে নারীর ইস্ট্রোজেন প্রজেস্টের হরমোন কমতির দিকে চলে আসে, ৫০ বছরের দিকে মেনোপজ হয়ে যায়।

মেনোপজের কাছাকাছি এলে ডিম্বাণু তৈরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন চাহিদাও কমে আসে। পুরুষের এন্ড্রোপজের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন কমে যেতে শুরু করলে যৌন চাহিদাও কমে আসতে শুরু করে, যৌন অক্ষমতাও দেখা দিতে পারে।

আবার বয়সের সঙ্গে বাড়ে নানা রোগের আক্রমণ। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির আধিক্য হয়ে রক্তনালিতে প্রবাহ কমে যাওয়ার সমস্যা, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি সমস্যাও যৌন অক্ষমতা তৈরি করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সঙ্গী বা পার্টনারের বয়স কম হলে দেখা দেয় সমস্যা।

তাহলে বিয়ের ক্ষেত্রে কতখানি বয়সের ব্যবধান আসলে ‘হেলদি’। মেডিকেল সায়েন্সে এর কোনো সদুত্তর নেই; কারণ বিয়ের বয়স ও সাফল্য অনেকটাই পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে।

তবে সন্তান নেওয়ার জন্য বায়োলজিক্যালি আদর্শ বা পারফেক্ট বয়স হচ্ছে নারীদের ২৫ থেকে ২৯ বছর। পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মান পড়তে থাকে ৩৫ বছরের পর থেকে। তাই বাবা হওয়ার আদর্শ বয়সও ধরা হয় ৩০ বছর বা তার কাছাকাছি।

No comments

Powered by Blogger.