Adsterra

এক সকালের হামলায় ইরানের ১০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করল ইসরাইল

 

এক সকালের হামলায় ইরানের ১০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করল ইসরাইল, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla new

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সামরিক এবং পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে চালানো এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক কর্মসূচির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামো ও পরমাণু কর্মসূচি বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


নিচে শুক্রবারের হামলায় নিহত ১০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ও তাদের ভূমিকা তুলে ধরা হলো—


সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিমালার কেন্দ্রে ছিলেন এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর মোকাবিলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করতেন।


জেনারেল হোসেইন সালামি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার। এই বাহিনী ইরানের প্রধান সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে অত্যন্ত সক্রিয়।


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ

আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।


জেনারেল গোলামালি রাশিদ

সশস্ত্র বাহিনীর উপসর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। প্রতিরক্ষা কৌশল ও সামরিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত। অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ফেরেইদুন আব্বাসি

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ও পরমাণু পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রিধারী। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি

ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তিনি আগে শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একজন খ্যাতনামা অধ্যাপক।


আবদুল হামিদ মিনুচেহর

পারমাণবিক প্রকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল অনুষদের ডিন ছিলেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে গবেষণা করতেন।


আহমদ রেজা জুলফাঘারি

শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশলের অধ্যাপক। তার গবেষণা মূলত জ্বালানি চক্র ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীভূত ছিল।


আমির হোসেইন ফাঘিহি

শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সদস্য এবং পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


মোতাল্লেবজাদেহ

একজন পরমাণুবিজ্ঞানী, যিনি তার স্ত্রীসহ হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.