কুয়াকাটায় সাংবাদিকের ওপর হামলা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার পিতা ইউনুছ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের ছেলে সম্রাট (২৩) আহত হয়েছেন।
কুয়াকাটা শ্রমিকদলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার এবং শ্রমিকদলের সদস্য শহীদুল ইসলাম, আ. কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আহত সাংবাদিক বাচ্চু।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুছ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এ সময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি। পরে ইউনুছ খলিফা প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আলী হোসেন খন্দকার। এর কিছুক্ষণ পর পিতাকে অপমানের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছালে পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও আলী হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল নামের একজন জানান, বাচ্চুকে ৩ থেকে ৪ জন মিলে মারধর করছে। এমন অবস্থায় তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



No comments